Humayun Vs Doctors: চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের TMC MLA Humayun Kabir বক্তব্য নিয়ে ফের শুরু বিতর্ক। শনিবার চিকিৎসক, জুনিয়ার ডাক্তারদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে হুমায়ুন কবিরকে। এবার জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস’ Joint Platform of Doctors West Bengal এর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, ক্ষমা চাইতে হবে হুমায়ুন কবিরকে।
Humayun Vs Doctors:কী বলেছেন হুমায়ুন কবির ?
আগেই হুমায়ুনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ– Indian Medical Association – র বহরমপুর শাখা। হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় দায়ের হয় এফআইআরও। এতেই বেজায় চটেছেন তৃণমূল বিধায়ক। মহালয়ার দিন মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। হুমায়ুনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, “যতো মহামিছিল করবে। এরা যদি এক হাজার লোকের মিছিল করে আমি তার পরের দিন পাঁচ হাজার লোকের মিছিল করবো। ওদের মেডিক্যালে ঘিরে রেখে দেবো। হিম্মত থাকে তো আমার সঙ্গে লড়বে”। তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, “ এই সব ডাক্তার ! এই সব ডাক্তারকে ঘরে ঢোকাতে আমার দু’মিনিট লাগে”। হুমায়ুন বলেন, এই কাজ করতে যদি মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিষেধ করে তাও নেত্রীর কথা শুনবেন না তিনি।
Humayun Vs Doctors হুমায়ুনের বক্তব্যের নিন্দায় সরব চিকিৎসকরা।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর পশ্চিম বঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে ডাঃ পুণ্যবত গুণ এবং ডাঃ হীরালাল কোনার বিবৃতি দিয়ে বিধায়কের বক্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ” জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস শ্রী হুমায়ূন কবির মহাশয় এর এই কদর্য অনভিপ্রেত মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছে। এবং একই সাথে এই দাবী জোরালো ভাবে রাখছে যে অনতিবিলম্বে তিনি যদি তাঁর এই চিকিতসক সমাজের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চান,তাহলে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস তীব্রতর আন্দোলনের পথে অগ্রসর হবে এবং আইনী যুদ্ধের ময়দানেও তাঁকে নামিয়ে আনবে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন” ।
Humayun Vs Doctors: জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর পশ্চিম বঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে ইস্যু করা বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ” “অভয়ার” নারকীয় প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচারের দাবিতে রাজ্যের প্রায় আপামর চিকিৎসক সহ বিশাল অংশের নাগরিক সমাজ রাজপথে ও আইনী পরিসরে আপোসহীন লড়াইয়ে সামিল আজ প্রায় বাহান্ন দিন। প্রকৃত অপরাধীদের এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত থামতে প্রস্তুত নয় বঙ্গ জনজীবন। কিন্ত অতি লজ্জা আর দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত চিকিত্সক সমাজের বিরূদ্ধে শাসক দলের দাযিত্বপূর্ণ (! ) জনপ্রতিনিধি এবং নেতাদের বিরামহীন ঘৃণ্য, অযাচিত হুমকি উবাচ এবং অসংসদীয় প্রকরণে দেখে নেওয়ার নিকৃষ্ট নিদান সংবাদ মাধ্যমে প্রায় প্রত্যহ প্রচারিত হয়ে চলেছে। যার অবশ্যন্তাবী ফলশ্রুতি হিসেবে আর জি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর আক্রমণে উদ্যত হচ্ছে অপরাধ প্রবণ মানসিকতার কিছু প্রশ্রয়প্রান্ত সামাজিক কীটেরা। যা বর্তমান সময়ের সার্বিক বিচারে সমস্ত নাগরিক সমাজকেই অপমান করার সামিল” ।