Humayun Kabir: ঘুণ। অহংকার। ইউসুফকে বসিয়ে চেতাবনি হুমায়ুনের

Published By: Madhyabanga News | Published On:

Humayun Kabir “তৃণমূলে ঘুণ ধরেছে”। তৃণমূলের মধ্যে “ অহংকার জন্মেছে” । এই ভাষাতেই লোকসভা নির্বাচনে  বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান Yusuf Pathan , তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারকে Apurba Sarkar  মঞ্চে বসিয়ে চেতাবনি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির

এবার  ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন কবির । মঙ্গলবার  বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে পাশে বসিয়ে রেখে দলের সংখ্যালঘু নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ  উগরে দিলেন ভরতপুরের তৃনমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে  অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন অ্যান্ড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ঈদ মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই দলের সংখ্যালঘু নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হুমায়ুন। এদিন হুমায়ুন বলেছেন, “ ঘুণ কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় ধরেছে। তৃণমূলের মধ্যে এই অহংকার জন্মেছে। আল্লাহ্‌ তালা এই অহংকারকে বরদাস্ত করেন না, পছন্দ করেন না।  তাই আমি বলবো আমাদের মধ্যে কেন এতো বিভাজন থাকবে ?”।

দলের কর্মীদের একাংশের আত্মবিশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন। তিনি বলেছেন, “এই লড়াই টা আমরা সবাই মনে করছি জিতে বসে আছি, তবে না বন্ধু । এর মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে অনেক লড়াই আছে” । প্রার্থীদের সাথে সেলফি নেওয়া, মঞ্চে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি কেন ? প্রশ্ন করেছেন তিনি।

হুমায়ুন বলেছেন, “ সামনে গিয়ে সেলফি তুলে ছেড়ে দিলেই ভোট হয়ে যায় না। আমি ১৯৯৩ সাল থেকে ভোটের রাজনীতিতে আছি। আমরা জানি ভোট টা কী ভাবে করতে হয়।  বর্তমানে দুঃখের হলেও সত্যি ক্যান্ডিডেটকে সামনে রেখে হুড়হুড়ি করা  হচ্ছে। , অডিয়েন্সের থেকে ডায়াসে ভিড় বেশি । এই প্রবনতা তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত দিন থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” ।

এদিন ইউসুফ পাঠানের কর্মসূচী ঘিরে সামনে এসেছে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। সকালে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে সংবর্ধনা দেয়  অল বেঙ্গল ইমাম মুয়াজ্জিন এ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট। এরপর দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কর্মসূচী হয় অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন অ্যান্ড সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। এই দুই কর্মসূচী কেন ? প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন।