Humayun kabir পদ্মা ভাঙনে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের লালগোলার তারানগরে গিয়ে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির! শুক্রবার হুমায়ুন তারানগরে ত্রান বিতরণ কর্মসূচীতে যান। ভাঙন দুর্গতদের হাতে তুলে নেন নানান খাদ্য সামগ্রী। সভা মঞ্চে দাড়িয়ে হুমায়ুন টেনে আনেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্যান্য দলের নেতাদের পরিদর্শনের প্রসঙ্গ।

Humayun kabir হুমায়ুনের নিশানায় মমতা!
Humayun kabir এরপরেই হুমায়ুন কবির বলেন, ” উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে, অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বার বার গিয়েছেন। এখনও উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আছেন। আগামীকাল কলকাতায় ফিরবেন। কেন্দ্রের যারা শাসনে আছেন সেই দলের নেতা কর্মীরাও গিয়ে বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কোন খারাপ কাজ না, আমি সমালোচনা করছি না। কিন্তু তারানগরে যে পদ্মা ভাঙনে এতগুলো পরিবারের সর্বস্ব শেষ হয়ে গেছে ২-৩ মাস ধরে চলছে, কারও কি মনে হয়না দুর্ভাগা মানুষগুলোর পাশে দলমত নির্বিশেষে আমরা পাশে থাকব!

Humayun Kabir অপূর্ব সরকারকে বেলাগাম আক্রমণ হুমায়ুন কবিরের ! আগামী দিনে বিপদ ?
Humayun kabir তারানগরে ত্রান বিলি হুমায়ুনের, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠির দাবি-
Humayun kabir তারানগরে পদ্মা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে কয়েক মাসে। চারদিকে হাহকার। অসহায়তার ছবি। ঘর বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে অসংখ্য পরিবার আজ নিঃস্ব। ঠাই হয়েছে অস্থায়ি ত্রান শিবিরে। তারানগর কেন অবহেলিত? এই প্রশ্ন তোলেন হুমায়ুন। বলেন, “আমি তৃনমূলের বিধায়ক, তাও তৃনমূলের কোন ঝাণ্ডা লাগায়নি। ব্যক্তি হুমায়ুন কবির হিসেবে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য এসেছি। ” এদিন দিঘার সমুদ্র সৈকতের উদাহরণও টেনে আনেন তৃনমূলের বিতর্কিত নেতা। বলেন, ” দিঘাতে বোলডার দিয়ে, ঢালাই দিয়ে প্রোটেকশন আছে। অথচ লালগোলা অবহেলিত কেন হবে? তারানগর কেন এত অবহেলিত হবে? নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন। কেন্দ্র সরকার দায় এড়াতে পারে না। পাশাপাশি রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব চিঠি দেব, সেচ মন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়ারও দৃষ্টি আকর্ষণ করব। আগামি দিনে যাতে লালগোলার তারানগর এলাকা সুরক্ষিত থাকে, মানুষ যাতে সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। যেখানে যা বলার বলব।”















