Humayun Kabir ফের বিস্ফোরক হুমায়ুন কবির, বিডওকে ‘ওয়ার্নিং’, শোনালেন ট্র্যাক রেকর্ড

Published By: Imagine Desk | Published On:

Humayun Kabir  হুমায়ুন আছেন হুমায়ুনেই। বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ে না। আবারও তাঁর বক্তব্য ঘিরে হইচই কাণ্ড। এবার কী বললেন ভরতপুরের বিতর্কিত তৃনমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির? শুক্রবার ভরতপুর ১ এ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এদিন হুমায়ুন কার্যত ওয়ার্নিং দেন বিডিওকে। হুমায়ুনের গলায় আমলার নামে এই রকম হুমকির ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলেও।

এদিন হুমায়ুন  বলেন, ” পঞ্চায়েতের বিডিও কী করছে? এখানে বিডিও কী করছে ? পুলিশের দোষ আমি দেব না, এখানে বিডিও ন্যাকামি করছে! পঞ্চায়েতের মালিক তো বিডিও। কী করে একজন পঞ্চায়েতের মেম্বারের স্বামী মিটিং রুমের ভিতরে উপপ্রধানের গায়ে হাত দেয়। উপপ্রধানও তাঁর পাল্টা গায়ে হাত দেয় ” ।  এরপরেই  হুমায়ুনে বলেন, ” কেন মারামারি হবে পঞ্চায়েতে? কিসের স্বার্থে, কোন ভাগ কম পেয়েছ ? কোন ভাগ বেশি পেয়েছ। মানুষের তো জানার অধিকার আছে। ভরতপুরের মানুষকে জানাতে হবে।”

Humayun Kabir বিডিওকে উদ্দ্যেশ্য করে হুমায়ুন বলেন, ”   বিডিওকেও আমি বলব আপনি বিডিও-র চেয়ারে বসে। বিডিও-র ফুলফর্ম ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। আপনি যদি পক্ষপাতিত্ব করেন   হুমায়ুন কবিরের ব্যাক রেকর্ড একটু লক্ষ্য করবেন।”   এরপরেই তাঁর ট্র্যাক রেকর্ডের উদাহরণ টেনে বলেন, ”  ২০০৮ সাল এডিএম জেলা পরিষদ ছিলেন  সুজয় সরকার , বর্তমানে পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারী পি উল্গানাথন তিনি ছিলেন জেলা শাসক । আমরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছি। যখন কোন অন্যায় দেখেছি ঘেরাও করে রেখে দিয়েছি। এ জেলার এসপি ছিল ভরতলাল মিনা। ২০০৮ সালে আমরা এসপি ঘেরাও করার নামে ৪ ঘণ্টা ধরে লক্ষ লোক দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছি প্রশাসনকে মাছি হিলতে দিইনি। নামিয়ে নিয়ে এনে ক্ষমা চাইয়ে ছেড়েছি।” হুমায়ুনের কটাক্ষ, ” এখানে চিংড়ি মাছ কাতলা মাছের সাথে লড়াই করতে আসবে । হাতি যেদিন মশা মারার মতো পা দিয়ে পিষে দেবে সেদিন বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল হয়।”

Humayun Kabir প্রকাশ্য সভায় দাড়িয়ে হুমায়ুনের এই বিতর্কিত মন্তব্য ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক মহলে।  হুমায়ুন কবিরের এই বক্তব্য কি অস্বস্তি বাড়াল তৃনমূলের অন্দরে? উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে নিন্দায় সরব বিরোধী শিবির।