সাঈনী আরজু, বহরমপুরঃ কম-বেশি প্রায় সকলেই আমরা স্কিন ট্যানিং সমস্যার শিকার হয়। তার কারণে অনেক সময়, কোন বড় প্রোগ্রামে আমাদের মন মতন দেখায়না। যার ফলে মনটাও খারাপ হয় একটু-আদটু। তার ওপর সামনেই বাঙালির মহোৎসব দুর্গা পুজো আসছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। এখনও সময় আছে, কোনরকম চিন্তা করতে হবে না। কারণ আমরা নিয়ে এসেছি কীভাবে পুজোর আগেই ঘরোয়া উপায়ে ম্যাজিকের মতো ট্যান দূর করা যায়। চকচকে ত্বক এর জন্যে আর প্রচুর টাকা খরচ করার দরকার নেই। ঘরোয়া উপায়েই সম্ভব ত্বকের যত্ন নেওয়া। প্রশ্ন কীভাবে?
প্রথম উপায় হচ্ছে টক দই, হলুদ ও বেসন। টক দই -এ কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের জন্যে অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এই কথার পক্ষে কি কোন আদেও প্রমাণ আছে? হ্যাঁ, জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি রিভিউতে পাওয়া গিয়েছে, টক দই মানুষের ত্বকে সত্যিই খুব ভালো প্রভাব ফেলে। শুধু টক দই নয়, দুগ্ধজাত যেকোনো প্রোডাক্টই ত্বকের ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এবং পাশাপাশি হলুদ ও বেসন-এ এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমেই এক চিমটে হলুদ, এক চামচ টক দই এবং এক কাপ বেসন একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে তার পেস্ট মতন তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটিকে গলায়, মুখে, হাতে এবং প্রয়োজন মতন লাগিয়ে নিয়ে পনেরো মিনিট রেখে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
যেহেতু পুজোর আগে সময় খুবই অল্প, তাই সপ্তাহে চার দিন এই মিশ্রণ ত্বকে লাগান। দেখবেন ত্বকে উজ্জ্বল ভাব খুব তাড়াতাড়ি আসবে। লেবুর রসও ট্যানিং দূর করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি একটু লেবুর রস দিলেও ক্ষতি নেই। ঘরোয়া উপাদানে ফল পেতে হলে, এই উপাদানগুলি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যয় একটু ধৈর্যও রাখতে হবে। তাতে কিন্তু দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার অনেক স্কিন ট্যানিং এর সমস্যা কমে গিয়েছে।