Higher Secondary: পরীক্ষা কেন্দ্রে কাগজের স্তূপ। যে সে কাগজ নয়, রীতি মতো উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary) বইয়ের জেরক্স কপি। আর সেই নিয়েই সরগরম মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এক স্কুল। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীকে সার্চ করাই উঠল হেনস্থার অভিযোগও। চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ( Higher Secondary Examination) । তবে সেই পরীক্ষায় স্কুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাগজ। কাছে যেতেই দেখা গেল, মামুলি কাগজ নয়, প্রশ্নোত্তরের জেরক্স (Xerox) । বিদ্যালয়ের শৌচালয়ের বাইরে পরে রয়েছে রাশি রাশি নকলের কাগজপত্র। এবারে সেই নকল রুখতে গিয়ে হলে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের রোষের মুখে পরতে হল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই। বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল হরিহরপাড়ার খিদিরপুর নেতাজি হাইস্কুলে। পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের অভিযোগ পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে সার্চের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Nashipur Rail Bridge: নশীপুর রেল সেতুর শেষ মুহুর্তের কাজ, তাই বাতিল বহু ট্রেন
পরীক্ষা শেষ হতেই এদিন বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ স্কুল কতৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক জয়দীপ দত্ত জানিয়েছেন, কাউন্সিলের নিয়ম মেনেই যাতে কেউ অসৎ উপায়ে পরীক্ষা না দেয় তার জন্য যা করার করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই কাজ করেছে স্কুল।
আরও পড়ুনঃ Dhano Dhanye Express: রেল নিয়ে বড় ঘোষণা অধীরের
এই ঘটনায় উদ্বেগে শিক্ষা মহল। বহরমপুর গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ ড. হেনা সিনহা এর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করছেন পাশ ফেল প্রথা উঠে যাওয়াকেই। তিনি বলেন, “ এটা শুধু উচ্চমাধ্যমিক নয়, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেও এই ছবি দেখা যাচ্ছে। তবে এটা উদবেগের যে নকল করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। পাশফেল উঠে যাওয়া এর অন্যতম কারণ”। কোভিডকালে পড়াশোনার সাথে পড়ুয়াদের দুরত্ব বেড়ে যাওয়াকেই এর কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।