High Court OBC ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে, তাতে যথাযথ আইন মানা হয়নি। তাই ওই শংসাপত্র বাতিল করতে হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ওবিসি অর্থাৎ অন্য অনগ্রসর শ্রেণী বিষয়ক ২০১২ সালের বিধি বাতিল করা হচ্ছে। এই রায়ের জবাবে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সময়ের সার্টিফিকেটে যারা চাকরি করছেন, পড়াশোনা করছেন তাঁদের কোন অসুবিধা না হলেও অনিশ্চিয়তার মুখে চাকরিপ্রার্থী থেকে পড়ুয়ারা। বাড়ছে চিন্তাও। চাকরিপ্রার্থী সুহানা সরকার বলেছেন, “ওবিসি সার্টিফিকেট থাকায় চাকরিতে সুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে”।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষতি হবে চাকরিপ্রার্থীদের। বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্যই চালু হয় ওবিসি সংরক্ষণ। ২০১০ সালে মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকে এই সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়।২০১২ সালে ওবিসি অর্থাৎ অন্য অনগ্রসর শ্রেণী বিষয়ক বিধি তৈরী হয়। এই বিধি বাতিল হওয়ায় চিন্তিত চাকরিপ্রার্থীরা । ২০১০ সালে রাজ্যের ৪২টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করে অনগ্রসর জাতি কমিশন। এর মধ্যে একটি বাদে বাকি সব কটি সম্প্রদায় ছিল ইসলাম ধর্মাবলম্বী। কমিশনের এই তালিকায় তৎকালীণ বামফ্রন্ট সরকার শিলমোহর দেয়। ২০১২ সালে আরো ৩৫টি সম্প্রদায় ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়।
আদালত ২০১০-এর পর যুক্ত হওয়া তালিকা বাতিল করেছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে নতুন করে ওবিসিদের তালিকা তৈরি করতে হবে । বিধানসভায় সেই তালিকা পেশ করতে হবে। বিধানসভা অনুমোদন দেওয়ার পর সেই তালিকায় থাকা সম্প্রদায়ের মানুষ ওবিসি বলে গণ্য করা হবে ।
এই রায়ের জবাবে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।তবে লম্বা আইনি প্রক্রিয়ায় ক্ষতি হবে না কেরিয়ারের ? প্রশ্ন তুলছে চাকরিপ্রার্থী থেকে পড়ুয়ারা।