Health Benefits of Pumpkin Seeds রঙিন সবজির মধ্যে অন্যতম মিষ্টি কুমড়া। অনেকেই এই সব্জি পছন্দ করেন, অনেকেই আবার মুখ ফিরিয়ে নেন। অনেকেই আবার সব্জি খেলেও ফেলে দেন বীজ। কিন্তু জানেন কী এই মিষ্টি কুমড়ার বীজে ( Pumpkin seeds) লুকিয়ে কত গুন? শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী মিষ্টি কুমড়োর বীজ যা হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উৎস। একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত একমুঠো অর্থাৎ ১৫-২০টির মতো বীজ খেতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক আর কী কী গুন রয়েছে এই বীজে! উপকারিতা এবং কত পরিমাণ খেলে পাবেন সুফল? কীভাবেই বা এই বীজকে দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করবেন? দেখে নেওয়া যাক-
প্রথমেই জানুন কী গুন আছে মিষ্টি কুমরোর বীজে? (Health Benefits of Pumpkin Seeds)
মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যেগুলো শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
এতে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার সেই সাথে ভরপুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
প্রোটিন সমৃদ্ধ এই বীজে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এটি একটি নিরাপদ প্রোটিনের উৎস।
হতাশা ও উদ্বেগ হ্রাস করে। হজমশক্তি বাড়ায়।
চুলে পুষ্টি যোগায় এবং মজবুত করে।
ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে ত্বক ভালো রাখে
কুমড়োর বীজে রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ২০১২ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে মেনোপজ হওয়া মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
এই প্রাকৃতিক উপাদানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। আর এই খনিজ উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই পরোক্ষভাবে হার্ট থাকে সুস্থ।
নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে দেহ থেকে ক্ষতিকর সব পদার্থ বেরিয়ে যায়। এমনকী কমে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন। আর সেই কারণেই একাধিক ক্রনিক অসুখ ধারে কাছে ঘেঁষারও সুযোগ পাবে না।
Health Benefits of Pumpkin Seeds কীভাবে আপনার দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করবেন কুমড়োর বীজ ( Pumpkin seeds) থাকল কিছু উপায় এবং চটজলদি রেসিপি-
পুষ্টিবিদদের মতে, কেউ এগুলিকে সালাদে বা রান্না করা শাকসবজি, হুমাস, স্লা, স্যুপ এবং ভাজার জন্য গার্নিশ হিসাবে যোগ করতে পারেন। অতিরিক্ত ক্রাঞ্চ এবং পুষ্টির জন্য আপনি এগুলিকে আপনার সকালের শেক এবং জুসে যোগ করতে পারেন। আভাকাডো টোস্ট, ফলের সালাদ, ওটমিল বা রাতারাতি ওটস এবং দইতে কুমড়োর বীজ ছিটিয়ে দিতে পারেন। যারা স্যুপ পছন্দ করেন তাদের জন্য, এই বীজগুলি স্যুপে মিশ্রিত করা যেতে পারে বা আপনার প্রোটিন গ্রহণের জন্য একটি গার্নিশ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিকে ভেজে তারপরে এটি একটি পাউডারে মিশ্রিত করতে পারেন এবং খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়াতে এটি ডাল এবং স্টুতে ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু দই, মধুর সাথে কুমড়োর বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, কুমড়োর বীজকে রোজের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন আর ফল পান কিছু দিনের মধ্যেই।