Hasanuzzaman Bappa অধীরের  “স্বৈরাচার” !  সরব হাসানুজ্জামান  বাপ্পা

Published By: Imagine Desk | Published On:

Hasanuzzaman Bappa কংগ্রেস নেতা হাসানুজ্জামান বাপ্পার অপসারণ ঘিরে তরজা তুঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে। হাসানুজ্জামান বাপ্পার নিশানায় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী Adhir Ranjan Chowdhury ।  শনিবার  জেলা  কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস  রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে হামিদুল সেখের নাম। জানান, মহকুমা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে হাসানুজ্জামানকে।

Hasanuzzaman Bappa কোন পদে ছিলেন হাসানুজ্জামান  বাপ্পা ?

Hasanuzzaman Bappa  এক সময় জেলায় ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন হাসানুজ্জামান বাপ্পা। ছিলেন ছাত্র পরিষদের West Bengal State Chhatra Parishad জেলা সভাপতি।   দীর্ঘ সময় কংগ্রেসের রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের সভাপতি ছিলেন  হাসানুজ্জামান বাপ্পা ।  জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতিও  ছিলেন তিনি । দুই পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। শনিবার রঘুনাথগঞ্জ থেকে বহরমপুর আসেন কংগ্রেস কর্মীরা। মিছিল করে যান কংগ্রেস অফিসে।   সেখানেই ব্লক সভাপতি, মহকুমা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হন তারা । শনিবারই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে  রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে হামিদুল সেখের নাম।

কী অভিযোগ জেলা কংগ্রেসের ?

জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের  দাবী, একাধিক অভিযোগ রয়েছে হাসানুজ্জামান বাপ্পার নাম। রবিবার  জয়ন্ত দাস  বলেন, “ লোকসভা  ভোটে টিকিটে চেয়েছিলেন হাসানুজ্জামান । দল  যেই টিকিট দিল না। তখন থেকে তাঁর রাগ । পার্টির থেকে দুরুত্ব  বাড়িয়েছেন। জেলার সঙ্গে কথা না বলেই  জেলাভাগের আন্দোলন করেছেন। কর্মীরা বলেছেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেন নি। নামমাত্র থেকেছেন। লোকসভা ভোটে যাতে প্রার্থী হারে তার জন্য চেষ্টা করেছেন। ব্লক সভাপতির এতো ত্রুটি পেলে দল তো ভাববেই সরিয়ে দেওয়ার জন্য” ।

Hasanuzzaman Bappa কী জবাব দিলেন হাসানুজ্জামান বাপ্পা  ?

কোন নিয়মে ব্লক সভাপতি বদল হল ? প্রশ্ন তুলেছেন হাসানুজ্জামান বাপ্পা। তাঁর দাবী, “নতুন রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর কারও ব্লক সভাপতি বদল করার এক্তিয়ার নেই। অধীর চৌধুরী কী দলের বাইরে ? সংবিধানের বাইরে ? যা খুশি তাই আর করা যাবে না। জঙ্গিপুরের মানুষ জবাব দেবে”।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসানুজ্জামান বাপ্পা।  রবিবার তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “ রাজ্য সভাপতি কর্মসূচীর ডাক দিয়েছিল। জঙ্গিপুরের ভাঙন নিয়ে সেই কর্মসূচিতে আমি অধীর চৌধুরীর মতামতের তোয়াক্কা না করেই গিয়েছিলাম। সেটা উনি ( অধীর চৌধুরী) ভালো চোখে নেন নি”। হাসানুজ্জামানের দাবী, জেলা ভাগ হলে অধীর চৌধুরীর উপনিবেশ আর চলবে না। বহরমপুরের নেতাদের উপনিবেশ চলবে না। তাতেই বহরমপুরের নেতাদের আপত্তি।

Hasanuzzaman Bappa  হাসানুজ্জামানের দাবী, মুর্শিদাবাদে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের নেতাদের। অধীর চৌধুরী সভা করতে দেন নি। তিনি বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা বর্তমান জেলা সভাপতির নাম যানে না। জেলা সভাপতি পদত্যাগ করতে চাইছেন কিন্তু অধীর চৌধুরী সেটা হতে দিচ্ছেন না। অন্য কাউকে জেলা সভাপতি করছেন না। বাপ্পা বলেন, “ অধীর চৌধুরী নিজের ছায়াকে ভয় পান। ভাবছেন অন্য কেউ জেলা সভাপতি হলে তাঁর বিকল্প হয়ে যাবে । তাই  কংগ্রেস বিধানসভায় হেরেছে, লোকসভাতেও। অধীর চৌধুরী দল চালাচ্ছে। এটা স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব”। তবে এই বদলের কী প্রভাব পড়বে জেলার রাজনীতিতে ? সেদিকে তাকিয়া রাজনৈতিক মহল।