Hariparpara School: পরীক্ষায় গার্ড দিতে হচ্ছে মিড মে মিল কর্মীকে। রান্না সেরে দিতে হচ্ছে পরীক্ষার গার্ড। কিন্তু কেন ? আসলে শিক্ষকের অভাবে এভাবেই পরীক্ষা চলছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় Hariharpara । হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুলে SRIPUR JR. HIGH SCHOOL ৭১ জন ছাত্রীছাত্রী আছে। কিন্তু নেই কোন স্থায়ী শিক্ষক। এক জন অতিথি শিক্ষকই স্কুলের পড়াশোনা থেকে দেখভালের দায়িত্বে।
Hariparpara School কীভাবে চলছে পরীক্ষা ?
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুলে ২ টো ঘরে চলছে ৪ টি ক্লাসের পরীক্ষা। কিন্তু অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম একা কীভাবে দুই ঘরে গার্ড দেবেন ? অগত্যা দায়িত্ব দিয়েছেন স্কুলের মিড ডি মিলের রাঁধুনি রেকসোনা বিবিকে। । অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান, ৯ মাস ধরে একাই স্কুল চালাচ্ছেন তিনি। ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা, খাতা দেখা থেকে প্রশাসনিক কাজ। সব দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।
Hariparpara School জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে তৈরি হয় শ্রীপুর জুনিয়র হাই স্কুল । সেই সময় ছিলেন একজন স্থায়ী শিক্ষক ও দুই জন অতিথি শিক্ষক । দুই অতিথি শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে । নতুন করে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দিন বদরুল। কিন্তু বছর কয়েক আগে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান ওই স্কুলের একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক। ফলে বর্তমানে একাই স্কুল সামলান বদরুল। অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান, তাঁর চাকরির মেয়াদ মাত্র এক বছর। এরপর স্কুল চলবে কীভাবে ? প্রশ্ন গ্রামের মানুষের। স্কুলের পঠন পাঠন নিয়েও চিন্তায় অভিভাবকরা।
Hariparpara Schoolভারতে ২০০৯ সালে পাশ হওয়া ‘শিক্ষার অধিকার আইন’ (RTE), যা সকল শিশুকে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হরিহরপাড়ার শ্রীপুর স্কুলের পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত। এই আইনে উল্লেখ রয়েছে যে, একজন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষার অধিকার সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে শিক্ষক নিয়োগ, মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ, এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখানে সে সব কিছুই দূরের কথা, স্কুলে নিয়মিত শিক্ষক না থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান বিপন্ন হচ্ছে।