Hariharpara আসছে গ্রীষ্মকাল। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হওয়ার উপক্রম। ফ্যান, এসি, এয়ার কুলারের চাহিদা এই সময় থাকে সবচেয়ে বেশী। চাহিদার কথা ভেবেই অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড ঘটাল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কোমগরের বাসিন্দা বাসিন্দা শামীম আক্তার।
Hariharpara পরিবেশ বান্ধব Eco friendly এয়ার কুলার! এও কি সম্ভব? নারকেলের ছোবড়া, ওয়াটার পাম্প, এক্সস্ট ফ্যান দিয়ে তৈরি হয়েছে এয়ার কুলার! প্রতি ঘন্টায় লাগবে ১ লিটার জল। এই কুলারটি ট্যাঙ্কের সাথে যুক্ত থাকবে, ফলে প্রয়োজন মতো জল নিতে থাকবে মেশিন। সাধারন টেবিল ফ্যানের মতোই বিদ্যুতের খরচ! অসাধ্য সাধন করে তাক লাগিয়েছে সামীম। তাঁর কথায়, মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যায়ে পরিবেশ বান্ধব কুলার ঘরকে ঠাণ্ডা করবে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচাবে।
Hariharpara ছোটবেলা থেকে প্রযুক্তির প্রতি ঝোঁক শামীম আক্তারের । সৃষ্টিশীল মনোভাব বরাবরের। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই মাকে হারায় সে। শুরু হয় জীবন সংগ্রাম। মাধ্যমিকের পর ভোকেশনাল কোর্সে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনলজি নিয়ে পড়া। গ্যারেজে কাজ শিখে নিজে গ্যারেজও খোলে সামীম। চেষ্টা ছিল নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।
Hariharpara পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে কেরালায় যাওয়া। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে করতেই আগ্রহ বাড়ে এয়ার কুলারের প্রতি। বিগত কয়েক বছরে জীবনের ওঠানামা দেখেছে সে। কেরালা থেকে বর্তমানে নিজের জন্ম ভিটেয় ফিরেছে সামীম। আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী এক বন্ধুর বাড়িতে।
Hariharpara শামীমের কাণ্ড দেখে এখন অবাক সকলেই। সাদামাটা এই ছেলেটিই তৈরি করে ফেলেছে আস্ত একটি এয়ার কুলার। প্রায় এক মাস ধরে চলে এই কর্মযজ্ঞ। কম খরচেই এই এয়ার কুলার ঘরকে করবে ঠাণ্ডা! এমনটাই দাবি শামীম আক্তারের।
Hariharpara শামীম জানায়, এয়ার কুলার বানানোর উদ্দ্যেশ্যই হল মধ্যবিত্তের কথা ভেবে। পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবেই নিজের ভাবনায় উদ্ভাবনীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে।