Hariharpara Case ভুয়ো তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে আবেদন! আবেদনেই সামনে আসে আসল ঘটনা। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা পড়া নথি দেখেই সন্দেহ হয় সরকারি কর্মীদের। তথ্য যাচাই করে তরুণীর ঠিকানায় যেতেই ফাঁস হয় চালাকি। নথিতে তরুণীর বাবা হিসাবে যাঁর নাম থাকে, সেই বৃদ্ধই জানেন না মেয়ে তো দূরের কথা, তরুণীর নাম।
Hariharpara Case মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এই ঘটনায় ঘটে দিন কয়েক আগেই। তদন্তে নামে হরিহরপাড়া ব্লক প্রশাসন। অভিযোগ হয় থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ তরুণীর শ্বশুরকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার। ধৃতকে এদিনই বহরমপুরে সিজেএম আদালতে তোলা হয়। যদিও ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে ঐ তরুণী ও তাঁর স্বামী।
Hariharpara Case প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তরুণী নথি হিসাবে জন্মের শংসাপত্র এবং আধার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিলেন। তা খতিয়ে নির্বাচন কমিশনের লোকেরা বুঝতে পারেন, দুটোই ভুয়ো নথি। এর পরেই বিষয়টি বিডিওকে জানানো হয়। জন্মের শংসাপত্রটিও হরিহরপাড়ার ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাতেও দেখা গিয়েছে, ওইরকম কোনও শংসাপত্রই দেয়নি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় তরুণীর বিরুদ্ধে।
Hariharpara Case স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে তরুণীর বিয়ে হয় হরিহরপাড়ার স্বরুপপুর এলাকার বাসিন্দা মোবারক শেখের সাথে। সম্প্রতি ভোটার কার্ড তৈরির জন্য আবেদন করে সে। আর তাতেই ভুয়ো নথি ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ব্লক প্রশাসন থানায় লিখিত অভিযোগ করে। ঘটনার তদন্তে নেমে তরুণীকে না পেয়ে পুলিশ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বশুর সাইদুল শেখকে গ্রেফতার করে।
Hariharpara Case সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার জানান, ” একটি বাচ্চা মেয়ে ভোটার কার্ডে নাম তোলার জন্য বিডিও র কাছে আবেদন করেছিল। তদন্ত হলে দেখা যায় যে নথি সে জমা করেছে সব ভুয়ো। তার ভিত্তিতে অভিযোগ করেন বিডিও। তদন্তের স্বার্থে সাইদুল শেখ নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে”।