Hariharpara Carrot মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার শ্রীহরিপুর। এই এলাকার চাষিদের মাথায় হাত। লাভজনক চাষ করেও নিম্নচাপের বৃষ্টি তাদের জীবনে এনেছে দুর্দিন । বিগত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় আগাম গাজরের চাষ Carrot Farming করেন বহু চাষি। এক বিঘা জমিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল গাজর। জমি থেকেই বস্তাবন্দি হয়ে সেই গাজর চলে যায় হাটেবাজারে, গ্রাম থেকে শহরে। আগস্ট মাসের শুরুর দিক থেকেই জমিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। লাভের মুখ দেখায় অন্যান্য সবজির তুলনায় সবচেয়ে বেশী গাজর চাষই করেন চাষিরা। যদিও এবছর ছবিটা একেবারেই হতাশাজনক।
Hariharpara Carrot বীজ বোনার পরেই নিম্নচাপের জেরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। বিঘা বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজ বোনা হলেও গাছই বেরোইনি। সব্জি চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতি হয়েছে গাজর চাষে। এছাড়াও গাজরের বীজের অত্যাধিক দাম বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে লাগে ৬০০ গ্রাম বীজ। কেজি প্রতি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বীজ কেনা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। রয়েছে লেবার খরচ। জানাচ্ছেন গাজর চাষি মহাদেব মণ্ডল, নাড়ু মণ্ডলরা।
Hariharpara Carrot আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস November Month পর্যন্ত জমিতে গাজর চাষ হয়। শ্রীহরিপুরে মাটির উর্বরতা বেশী হওয়ায় লাভজনক গাজর চাষ। ১০০ বিঘা জমিতে চাষ হলেও বর্তমানে টিকে রয়েছে মাত্র ২০ বিঘা জমির সব্জি। পুজোর মুখে চাষে এতবড় ধাক্কা কীভাবে সামলাবেন চাষিরা? প্রশ্ন বীজ বিক্রেতা রিপন সেখের।