Hariharpara Awas Yojona চালা ঘরে থাকেন, স্বামী হারা হরিহরপাড়ার বাসিন্দা রশিদা বেওয়ার বিড়ি বেঁধে সংসার চলে। প্রয়োজন একটি পাকা ঘরের। একরাশ ক্ষোভ নিয়ে শনিবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তিনি। হাতে আবেদনপত্রের প্রাপ্তিস্বীকারের কাগজ নিয়ে বলছেন, সার্ভে হলেও তালিকায় নাম বাদ পড়েছে। কেন নাম কাটা? জানেন না! স্বরূপপুরের মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা পিয়ারুল সরকার। রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন চলা ফেরার ক্ষমতা। দীর্ঘ ছ বছর ধরে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার টোটোয় চেপে তিনিও আসেন বিডিও অফিস। বলছেন, পাকা ঘরের আবেদন করেছিলেন, সার্ভেও হয়েছে। তালিকায় নামও ছিল। অথছ প্রথম খসরার তালিকা প্রকাশ হতেই তাঁর নাম আর নেই! প্রশ্ন করছেন- ঘর পাওয়ার কারা যোগ্য? এমনই অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে হরিহরপাড়া বিডিও অফিসে এলেন বহু মানুষ, চোখেমুখে একরাশ হতাশা নিয়ে।
Hariharpara Awas Yojona আবাসের প্রথম খসরা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ব্লকে ব্লকে। সেই তালিকায় মুর্শিদাবাদে প্রায় ত্রিশ শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। তাতেই হরিহরপাড়া ব্লকে দেখা যাচ্ছে ৯,২৫০ জনের মধ্যে নাম বাদ গিয়েছে প্রায় ৩,৪৭৯ জনের। যদিও এখনও বেশ কিছু বাড়ি সার্ভে বাকিও রয়েছে বলেই ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। নাম না থাকলে অভিযোগ জানানো এবং পুনরায় সার্ভের ব্যবস্থাও রয়েছে। যদিও ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে অনেকের। কেন বার বার হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে? কেন যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাদেরই নাম বাদ যাচ্ছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সাকিনা বিবি, আসিরুদ্দিন সেখেরা।
Hariharpara Awas Yojona যদিও অভিযোগ নিয়ে হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীর আলমগীর দাবি করেন, প্রাথমিক সার্ভেতে অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। যাদের নাম বাদ গিয়েছে তারা অভিযোগ জমা করলে আবার তা খতিয়ে দেখা হবে।
সমস্যার সমাধানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন যোগ্যরা। আদৌ কি পাবেন পাকা বাড়ি? প্রশ্ন থাকছেই।