মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ একদিকে মুর্শিদাবাদ অন্যদিকে বাংলাদেশ। মাঝে আবহমান পদ্মা। মুর্শিদাবাদের লালগোলার একেবারে সীমান্ত এলাকা ময়া পন্ডিতপুরে শুরু হয়েছিল বন্দর তৈরির কাজ। অবশেষে সেই বন্দর থেকে জলপথে হবে ‘ট্রায়াল রান’। বহুপ্রতীক্ষিত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী লালগোলার এই বন্দর চালু হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সামগ্রী আদানপ্রদানের জন্য ২০২২ সালে ভারত-বাংলাদেশের সাথে বৈদেশিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই মতো ভারতের দিকে লালগোলার ময়া গ্রামে ও পদ্মা পাড়ের বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জে তৈরি হয়েছে বন্দর। এই দুই বন্দরের মধ্যে জলপথে তৈরি হবে আমদানি রপ্তানির সম্পর্ক। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ভারতের বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর লালগোলার ময়াতে এসে এই বন্দরের জলপথের যাতায়াত প্রত্যক্ষ করবেন।
ইতিপূর্বে, সংসদে লালগোলার ময়াতে বন্দরের দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তারপরে শুরু হয় বন্দর নির্মাণের কাজও। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের পয়লা তারিখ বন্দর নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে ময়াতে প্যাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি টিম সাথে করে নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান অধীর। কাজ খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, “আমরা প্রথম জেলায় এই বন্দরের প্রয়োজনীয়তা সংসদে পেশ করি। কাজও শুরু হয়। এই বন্দর চালু হলে জেলার মানুষ তো বটেই। ব্যবসার নতুন রাস্তা খুলে যাবে।”
শুধু অধীরই না, গত বছরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সকলেই এসেছেন লালগোলাতে এই বন্দরের কাজ প্রত্যক্ষ করতে। গত আগস্ট মাসে ময়াতে নির্মীয়মাণ বন্দরে যান কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। নতুন বছরে মুর্শিদাবাদে দলীয় কর্মসূচিতে এসে, দলীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে লালগোলার ময়াতে নির্মীয়মাণ বন্দর পরিদর্শনে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলেই ঘুরে গিয়েছেন লালগোলার ময়ার এই বন্দরে।তবে এবারে কাজ প্রায় শেষ লগ্নে। আগামী সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে জলপথে লালগোলা থেকে বাংলাদেশ যাত্রা এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা।