নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ আপনি প্রবেশ করলেন ৪৩তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলাতে। ঢুকতে না ঢুকতেই মাঠের মাঝখানে লোকজন ভিড় করে কিছু একটা নিচ্ছেন। ভিড়ের কাছে যাওয়া মাত্রই নজরে আসবে এক হাতে বই তো আরেক হাতে গাছ। বড়ই অদ্ভুত দৃশ্য। এবং এই দৃশ্যই উঠে এল এবারের বইমেলায়। যেখানে মানুষ বই পড়ার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন গাছ।
এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে হাজির স্বেচ্ছা সেবি সংস্থা মিশন গ্রিন ইউনিভার্স। রবিবার বইমেলা প্রাঙ্গনে এসে হাজির হলেন এই সংস্থার লোকজন। প্রায় ১২০০ টি গাছ নিয়ে প্রথম দিন এসেছিলেন। তাঁর মধ্যে ছিল ফুল-ফল থেকে শুরু করে বিরল গাছ যেমন অশোক গাছ, পলাশের মতন গাছ। এই সমস্ত গাছ দেখা মিলল আজকের বই মেলায়।
১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা সেখানে প্রায়ই আসবেন বলে জানান মিশন গ্রিন ইউনিভার্সের কর্ণধার অর্ধেন্দু বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, ‘বই এবং গাছের মধ্যে একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। কারণ কাগজের জন্যে প্রয়োজন গাছের ছাল। এবং প্রাণ বাঁচিয়ে রাখার জন্যে দরকার গাছ।’
বর্তমানে উষ্ণায়নের যুগে যেখানে প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরাও। পাশাপাশি সময়ে বৃষ্টি হচ্ছেনা। শীতকালে অকাল বৃষ্টি এই সমস্ত কারণে জেলার চাষিদের অবস্থা এমনি খারাপ। তাই এই খারাপ অবস্থা পাল্টানোর সপথ নিয়ে এই সংস্থায় যোগ দিয়েছেন নবীনেরাও। মিশন গ্রিন ইউনিভার্সের নবীন সদস্য মহাফিজুর রহমান জানান, ‘পরিবেশ বাঁচাতে গেলে প্রথমেই আমাদের যুবক বা নবীনদের আগে আসতে হবে। কারণ আমরা যদি উদ্যোগ না নিয়ে থাকি। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম সবুজ পৃথিবী বলতে কি হয় সেটাই জানবে না।’ একসাথে সবাই মিলে একটি সবুজ পৃথিবী তৈরি করুক সেই আশায় মুক্ত হস্তে গাছ দিয়ে চলেছেন এই সেচ্ছাসেবি সংস্থা। এবং সেই গাছ নেওয়ার জন্যে লাইনও পড়েছে মেলার দ্বিতীয় দিনে।