Fishing Seedlings Released বহরমপুরে ভাগীরথীতে ছাড়া হল লক্ষাধিক মাছের চারা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ এবং গঙ্গা নদীর পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করতে এই মাছ ছাড়া হল। আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে গঙ্গায় মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বহরমপুরের কলেজ ঘাটে প্রায় ৩ লক্ষ মাছের চারা ছাড়া হয়।
মৎস্যবিজ্ঞানী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য ডঃ সৌরভ কুন্ডু তিনি জানান, ‘বেশকিছু বছর ধরে আমরা গঙ্গা নদীর বিভিন্ন প্রান্তে মাছ ছাড়ছি। মূল লক্ষ গঙ্গা নদীর পুনরুদ্ধার। যে সমস্ত জেলায় জেলেরা একদমই মাছ পান না। সেই সমস্ত জেলায় গিয়ে আমরা আমাদের এই কর্মসূচী নিচ্ছি। যাতে গঙ্গা নদীতে মাছের বৃদ্ধি পায়। তাই আমরা বিগত ৬-৭ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছি। আমাদের সংস্থার পথপ্রদর্শক ডঃ বসন্ত কুমার দাস মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে’।
রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন ধরণের মাছের চারা ছাড়া হয় এদিন। গঙ্গায় দিনকে দিন কমছে মাছ, এর জেরে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। মূলত মৎস্যজীবীদের আর্থিক দিক থেকে সামলম্বি করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইরকম একটি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের প্রবীণ সমাজকর্মীরাও। সমরেন্দু ভট্টাচার্য শহরের প্রবীণ সমাজকর্মী। তিনি এদিন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জানান, ‘দিন দিন ভাগীরথীতে ছোট মাছ থেকে বড় দেশি মাছ কমে যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ আমরাই। যদি এইরকম উদ্যোগ আমরা নিতে পারি। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করা যায়। যে গঙ্গায় নংরা নে ফেলে কেউ। তাহলে আবার দেশি মাছ ফিরে আসবে। তাই শুধু না এই মাছের ওপর ভরসা করে যে সমস্ত জেলেরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করত। তারা আবার জীবিত হতে পারবে’।
একদিকে গঙ্গা দূষণ রোধ নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। এদিন মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে ছোট ফাস জালের পরিবর্তে বড় ফাস জালের ব্যবহার নিয়ে সচেতন করা হয়। দু’দিনের এই কর্মসূচী আজ শেষ হল বহরমপুরের কলেজ ঘাটে।