কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি?
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সম্পত্তি বেদখল করছে জঙ্গীপুর পুরসভা (Jangipur Municipality)। এমন অভিযোগে সরাসরি পুরসভার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চিঠি কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির। পুরসভার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলল রোজভ্যালির আমানতকারীদের স্বার্থে হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। রোজভ্যালি আসেটস ডিসপোজাল কমিটির তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে রঘুনাথগঞ্জ থানা (Raghunathganj PS) এলাকার বাসুদেবপুর মৌজায় ১৮৩ নম্বর প্লটে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

Jangipur Municipality মুর্শিদাবাদে জঙ্গিপুর পুরসভার বিরুদ্ধে রঘুনাথগঞ্জ থানাকে অনুসন্ধান করে এফআইআর করতে চিঠি দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ সেঠ কমিটি। এর আগে ওই কমিটির তরফে গত ১১ সেপ্টেম্বর পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। তাতে পুরসভা কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। তাই মঙ্গলবার শেঠ কমিটির নোডাল অফিসার জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ও রঘুনাথগঞ্জ থানাকে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে এফআইআর করার জন্য জানিয়েছে। কমিটির চিঠিতে আরও বক্তব্য, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওই বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সেখানে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জবরদখল করার এক্তিয়ার নেই। তারপরেও জঙ্গিপুর পৌরসভা সেই জমি দখল করে নির্মাণ করছে। এর আগে ওই পুরসভাকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা জানানোর জন্য সতর্ক করেছিল কমিটি। কিন্তু তারপরেও পুরসভার তরফে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা হয়নি। এই অবস্থায় পুলিসকে কমিটির বক্তব্য, এই চিঠিকেই এফআইআর হিসেবে ধরে নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক।
আরও পড়ুনঃ Murshidabad News ‘MP দের জবাব ঠিক সময়মতো দেব’ ফের বিস্ফোরক Humayun Kabir, নিশানায় দুই সাংসদ
Jangipur Municipality
জঙ্গিপুরের বাসুদেবপুর মৌজায় বহু বছর ধরে প্রায় ১৩ শতক (০.১৩০০ একর) জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। ওই জমি রোজভ্যালি চিটফান্ডের। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই জমি এখন বাজেয়াপ্ত হয়ে আছে। এমন জমিতে হঠাৎ জঙ্গিপুর পুরসভা জলের ট্যাঙ্ক সহ আরও নির্মাণ কাজ করছে বলে অভিযোগ। নাগরিকদের বক্তব্য, এমন বিতর্কিত জমিতে কোনও প্রোমোটার নয়, একটা পুরসভা বেআইনি দখলে নেমেছে! তাদের আইন আদালতে কোনও ভয় থাকলে এটা করা সম্ভব হতো না।
Jangipur Municipality ওই জমির বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুরসভা, জেলাশাসক হয়ে নবান্নের কর্তাদের কাছে আইনি নোটিস পাঠান ওই সংস্থার আমানতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস। রোজভ্যালির আমানতকারীদের তরফে তিনি নোটিস পাঠিয়ে পৌরসভাকে সতর্ক করে বলেন, এখনই ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা হোক। রোজভ্যালি কমিটির নতুন চিঠি প্রসঙ্গে অরিন্দমবাবু বলেন, পুরসভার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা খুব লজ্জাজনক যে বাজেয়াপ্ত করা জমি তারা দখল করে কোনও নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। অথচ তাদের সতর্ক করার পরেও পিছু হটছে না। এটা একটা ঔদ্ধত্য। অথচ আইনের চোখে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাই কমিটি এবার চিঠি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই চিঠি অন্য এমন বিতর্কিত জমি দখলদারদের ক্ষেত্রেও একটা সতর্কতা। কারণ গত এক দশকে চিট ফান্ডের বহু সম্পত্তি এইভাবে কার্যত গায়ের জোরে দখল করা হয়েছে বলে আমাদের কাছেও খবর রয়েছে।
তবে জঙ্গিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, যে ১৮৩ নম্বর দাগের কথা বলা হচ্ছে সেখানে কোনো নির্মাণ জঙ্গিপুর পৌরসভা করেনি। অন্য দাগে হয়েছে। তবে যদি মাপ করে দেখা যায় ওই দাগে নির্মাণ হয়েছে তাহলে আমি নিজেই কোম্পানিকে বলব ভেঙে দিতে।













