Farakka Trail ফুলের লোভ দেখিয়ে সাত সকালে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিশুকে। তারপর চালানো হয় নির্যাতন। দুই জন মিলেই করে নির্যাতন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাজা দোষী সাব্যস্ত করা হয় ২ জনকে। আজ হবে সাজা ঘোষণা । দুই অপরাধীকে শুক্রবার নিয়ে আসা হয় আদালতে।
Farakka Trail কী হয়েছিল ?
Farakka Trail দশমীর সকালে শিউরে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা Farakka । এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল শিশুর বস্তাবন্দি দেহ। সেই ঘটনায় বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে হয় মামলা দায়ের। পরে গ্রেফতার করা হয় এক প্রতিবেশীকেও। এদিন দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর আদালত। জানা গিয়েছে ওই ঘটনায় ধৃত দীনবন্ধু হালদার এবং শুভজিৎ হালদার ২ অভিযুক্তই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে । এদিন জঙ্গিপুর আদালতে Jangipur Court ধৃত দুই জন দোষী সাব্যস্ত হয়। সরকারি আইনজীবি বিভাস চ্যাটার্জি জানান, দুই ব্যক্তি মিলেই শিশুর ওই ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘটিয়েছিল। দীনবন্ধু হালদার ওই শিশুকে কিডন্যাপ করে। এরপর প্রতিবেশী শুভজিৎ হালদারে সঙ্গে মিলেই নির্যাতন করে ওই শিশুকে।
Farakka Trail পরিবারের অভিযোগ ছিল, দেহ উদ্ধারের পর পকসো ধারা যুক্ত করা হয় নি। তবে অনড় ছিল পরিবার। চাপে পরে পকসো ধারা যোগ করে পুলিশ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রথম থেকেই পকসো ধারা যোগ ছিল। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে সিপিএমের যুব সংগঠনও। অবশেষে ৫৯ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত হল দুই। জানা গিয়েছে, শিশুর শরীরে মিলেছে আঘাতের একাধিক চিহ্ন। সরকারি আইনজীবি বিভাস চ্যাটার্জির দাবি, মৃত্যুর পরেও অত্যাচার করা হয়। মরদেহ বস্তায় পুরে রাখা হয়। আজ হবে সাজা ঘোষণা।
Farakka Trail পুলিশের পক্ষ থেকে কালই করা হয়েছে টুইট। লেখা হয়েছে, ” ঘটনায় জঙ্গিপুরের এস.পি আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় সিট (special investigation team)। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ একত্রিত করে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট। হ্যাঁ, মাত্র ২১ দিনের মধ্যেই। অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল মিলেছে। আজ, ঘটনার ঠিক ৬০ দিনের মাথায় বিচারক দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মাত্র দুই মাসের মধ্যে তদন্ত এবং বিচার সম্পূর্ণ। সাজা ঘোষণা কাল”।