Farakka Protest : ফারাক্কার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন মানবাধিকার কর্মীদের Farakka Human Rights Workers Deputation

Published By: Madhyabanga News | Published On:

পবিত্র ত্রিবেদীঃ আদানি সংস্থার বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে 2 জুলাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফারাক্কা দাদানতোলা। সেই ঘটনায় বুধবার বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে গণ ডেপুটেশন দিল কৃষকদের একটি কমিটি। ওই কমিটির সদস্যদের দাবি , একটি আম গাছ থেকে বছরে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। ২০ হাজার টাকা আয় হয় একটি লিচু গাছ থেকে। এরকম বিঘের পর বিঘে জমিতে ফলের গাছ কেটে জমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে । বাধা দিলে গ্রামবাসীর ওপর পুলিস অত্যাচার করেছে বলেও তাদের অভিযোগ । এদিন স্মারকলিপি জমা দেন জমি জীবন জীবিকা প্রকৃতি লুঠ বিরোধী জনগণের কমিটির সদস্যরা ।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়া বন্ধ করা, ইতিমধ্যে কেটে ফেলা গাছের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ সাত দফা দাবি তুলেছেন তারা । এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক সংঘের এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, ” পুলিস অত্যাচার করেছে। আমার ছেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাকে পর্যন্ত কাজ থেকে বসিয়ে রাখা হয়েছে । আমার নামে কেস দেওয়া হয়েছে। একটা প্রাইভেট কোম্পানি তার নিয়ে যাচ্ছে, এর সঙ্গে প্রশাসনের কোনও বিষয় নেই” । কমিটির পক্ষে আইনজীবী অনুরাধা ব্যানার্জি বলেন, ” গত ২ জুলাই ওই ঘটনার পর সেখানকার মহিলারা অসহায় হয়েছিলেন। আমাদেরকে দেখে ধাতস্থ হয়” । এদিন মানবাধিকার কর্মীরা দাবি জানান, সমস্ত মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে । জোর করে যে গাছগুলো কাটা আছে তার পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । ওই প্রকল্পের সমস্ত কাজ সেখানে বন্ধ করতে হবে । ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবিও জানানো হয়।
এদিন কমিটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, গত চার মাস ধরে ফারাক্কা ব্লকের বেনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে তার নিয়ে যেতে আপত্তি করা হয়েছে । সেখানকার দাদনটোলা, ঘোলাকান্দি, ইমামনগর, সামাসপুর গ্রামের বাসিন্দা বাগানের মধ্যে দিয়ে এই তার নিয়ে যাওয়ার নিয়ে আপত্তি রয়েছে । এটা হলে সেখানে প্রায় ১০০০ বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ওপরে ২০০০ পরিবারের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে বলে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন কোনও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। যে বেসরকারি কোম্পানির উদ্যোগে টাওয়ার বসানো হয়েছে সেই সংস্থার কোনও বক্তব্য এদিন জানা যায়নি।