Farakka case বাঁ পায়ে প্লাস্টার। নি ওয়কারে ভর দিয়ে এক পা এক পা করে কোনরকমে গাড়ি থেকে নামলেন। সঙ্গে এলেন স্ত্রী। শনিবার এভাবেই জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে হাজির হলেন নিউ ফারাক্কা হাইস্কুলের আক্রান্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মনিরুল ইসলাম। বললেন, ‘ জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে এসেছি গোপন জবানবন্দি দিতে। আমি না এলে অসুবিধা হবে বলেই এই অবস্থাতেও আসতে হয়েছে।’
Farakka case গত ৩১ শে জানুয়ারী ফরাক্কা হাইস্কুলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং চলাকালীন আক্রান্ত হন প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মনিরুল ইসলাম। এই ঘটনার পরেই কার্যত শোরগোল পড়ে যায় জেলা তথা রাজ্য জুড়েই। শিক্ষাঙ্গনে আক্রান্ত শিক্ষক! যা নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। ঘটনার পরের দিনই ১লা ফেব্রুয়ারি- ফারাক্কা থানায় তৃণমূল নেতা ও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
Farakka case কেন এই আক্রমণ? চড়াও হওয়ার মূল কারণ কী?
Farakka case আক্রান্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ আমাকে এখান থেকে তাড়াবে বলেই এই আক্রমণ। সেদিনের মূল কারণ হল রুটিন। ওঁরা সিনিয়র টিচার। ১২ বছর ধরে অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টারের সঙ্গে স্কুল চালিয়ে এসেছেন। এটা শুধু আমার প্রবলেম না। দীর্ঘদিন যেখানেই টি আই সি থাকে সেখানেই ঘুরঘুর বাসা তৈরি হয়। ওঁরা চায় হেড মাস্টারকে নিজের মতো করে চালাব।’
Farakka case উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের মধ্যে স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুজন স্বর্ণকার এবং তৃণমূল নেতা অরুণময় দাসকে গ্রেফতার করেছে ফারাক্কা থানার পুলিশ। যদিও এখনও অধরা ৩ অভিযুক্ত। পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে আক্রান্ত শিক্ষক বলেন, ‘ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যত দ্রত সম্ভব এদের গ্রেফতার করা হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ করব ব্যাপারটাকে নিয়ে যেন রাজনীতি না হয়। আমি যেন বিচার টা পাই।’
Farakka case বিচার চাইছেন আক্রান্ত শিক্ষক। অন্যদিকে ফারাক্কা স্কুল কাণ্ডে তুঙ্গে ওঠে তরজাও। গত ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি স্কুলে এসে আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের নামেই অভিযোগের আঙুল তোলেন ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।
Farakka case সব নিয়েই গত ১৫ দিন ধরে সরগরম ফারাক্কার হাওয়া। পুলিশি তদন্ত কোন দিকে এগোয়? অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগের মাঝে কতদূর গড়ায় জল? প্রশ্ন উঠছে।