মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ দোরগোড়ায় শীত। ইতি মধ্যেই আবহাওয়াই শুষ্কতা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে হাতে পায়েও টান পড়ছে। এবং শীত মানেই শীতের প্রসাধনী থেকে শুরু করে বডি ওয়েল সবই ধীরেধীরে দোকানে দোকানে দেখা যাবে। এছাড়াও সারা বছর কমবেশি যে সমস্ত কস্মেটিক আইটেম ব্যবহার হয় সেইগুলি তো রয়েইছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট। কোনটা দিনের জন্যে কোনটা রাতে। তো কারোর অইলি স্কিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী তো কিছু আবার সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। যার যেমনটা প্রয়োজন সে ঠিক তেমনই ক্রিম থেকে প্রসাধনী দ্রব্য কিনে থাকেন।
কিন্তু কী হবে যখন হাতে পায়ে মাখার এই ক্রিম জানতে পারবেন এক নম্বরের জালি। কী চোখ কপালে উঠল তো ! এত শখ করে হাতে-পায়ে যে সমস্ত ক্রিম বা বডি অয়েল মাখেন সেটাই যখন বেরোবে ভেজাল এবং যা ব্যবহারের ফলে ঘটতে পারে বড় বিপদ। মুখে বেরতে পারে ফুসকুড়ি এছাড়াও চামড়ার সমস্যা হতেই পারে সারা জীবনের জন্যে।
একই রকম দেখতে লেভেল, স্টিকার, কৌটর ধরন, তেলের রং- দেখে আলাদাই করতে পারবেন না আসল-নকল! সেই সেই নারকেল তেলেই মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল। একইভাবে তা সাবানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য! নকল প্রশাধনী সামগ্রীর বড়সড় পর্দাফাঁস করলেন তদন্তকারীরা। তেল থেকে সাবান, দাঁত মাজার মাজন, গোলাপ জল এমনকি ডেটলও হবহু নকল করে জাল করা হচ্ছে।
এমনই নকল সামগ্রীর খোঁজ পাওয়া গেল সামশেরগঞ্জে একটি দোকানে। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে এমনই জালী সামগ্রী উদ্ধার করল। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দোকান মালিককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে সামশেরগঞ্জের নতুন ডাকবাংলা এলাকার একটি দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। সেই দোকান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে নামি কোম্পানির লেবেল লাগান তেল সহ অনান্য সামগ্রী। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দোকান মালিক ওয়াকার ইউনুসকে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় খতিয়ে দেখছে কোথায় থেকে এই সব সামগ্রী নিয়ে আসা হচ্ছিল। এরফলে এলাকার ব্যবসাদারদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভেজাল মশলা তৈরির পিছনে রাজ্যের একটা বড় চক্র কাজ করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যারা ইতিমধ্যেই জালে ধরা পড়েছেন, তারা ছোট মাথা। আসল মাথার খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের চাঁই পর্যন্ত পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা। প্রত্যন্ত জেলায় বিভিন্ন কারখানাগুলিতে এই ভাবেই ভেজাল মশলা তৈরি হচ্ছে। আরও অনেক জায়গাতেই এর জাল বিছিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।