Eye Yoga কোন পদ্ধতিতে উন্নত হবে দৃষ্টি শক্তি ?

Published By: Madhyabanga News | Published On:

Eye Yoga  বর্তমানে নতুন প্রজন্ম থেকে বয়স্ক যারা রয়েছেন। তারা সবাই কমবেশি মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে নিজেদের দিনের একটি বৃহৎ অংশ কাটান। অনেকের তো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসেই সারাদিনের কাজ থাকে। আবার পড়াশোনার ক্ষেত্রেও মোবাইল বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয় অনেকক্ষণ।

এই রকম পরিস্থিতিতে চোখে ইউভি রে সরাসরি চোখে এসে ধাক্কা খায় ফলে ক্ষতি করছে চোখের। কিন্তু কীভাবে সহজ কিছু উপায়ে আপনিও রাখতে পারেন আপনার চোখকে ভালো ? সেই বিষয়ে যোগা প্রশিক্ষক শান্তনু মণ্ডল জানান, “মানুষ এখন একনাগাড়ে কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফলে ভুলে যাচ্ছেন চোখের ফলক ফেলতে। নষ্ট হচ্ছে চোখের আদ্রতা। সেই কারণে চোখের অশ্রু অনেকখানি শুকিয়ে যায়”। আমাদের সবারির চোখেই জল থাকে যাকে অশ্রু বলা হয়। কিন্তু মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের নীল আলোর ফলে সহজেই শুকিয়ে যাচ্ছে সেই অশ্রু। যারফলে কমছে দৃষ্টি শক্তি।

ভারতীয় এমন কিছু যোগ আছে যা সহজেই বাড়িয়ে তুলতে পারে দৃষ্টি ক্ষমতা।

১. আই বল রোলিং

মাথা সোজা রেখে চোখের মণিগুলিকে চারিদিকে ঘোরানো। এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও এক বার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে। গোটা পদ্ধতিটি তিন বার করে করতে হবে সময়ান্তরে। গোটা চোখের ব্যায়াম হয় এই পদ্ধতিতে। চোখের শুষ্ক ভাব কেটে যায়।

২. ফোর হেড কনট্রাকশন

মাথা সোজা রেখে কপাল কুঁচকে তাকান। কপালের পেশি এক বার সঙ্কোচন আর এক বার প্রসারণ করতে হবে। বার বার করলে চোখের পেশিরও ব্যায়াম হবে। অনেক ক্ষণ কাজ করার পরে এই ব্যায়াম করলে চোখে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। চোখের ক্লান্তি কাটবে।

৩. ভ্রামরী

পদ্মাসন, বজ্রাসন বা যে কোনও সুখাসনে বসে দুই হাতের তালু দিয়ে দুই চোখ ঢাকতে হবে। দুই হাত কাঁধ বরাবর থাকবে। ওই ভাবে থেকে ‘ওঁ’ উচ্চারণ করুন। শান্তনু মণ্ডল বলছেন, “২০ সেকেন্ড মতো এই ব্যায়াম করতে পারলে চোখের দৃষ্টি যেমন বাড়বে, তেমনই মানসিক চাপও কমে যাবে অনেকটাই। খুব ভাল যোগাসন ভ্রামরী। চোখের পাশাপাশি মন ও মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম হয়। মনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও কেটে যায়।”

এছাড়াও আরও বহু পদ্ধতিতে চোখের দৃষ্টি শক্তি (Eye Yoga) বাড়ানো যেতে পারে। যাদের বাধ্যতামূলক স্ক্রিনের সামনে বসে থাকতেই হবে। তারা অবশ্যয় কিছু সময় স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে যেন বসে থাকে। খুব বেশি সমস্যা হলে অবশ্যয় ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।