Expert advice on Vegetable cultivation
প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবছর মুর্শিদাবাদ জেলার সব্জি চাষে সীমাহীন ক্ষতি। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও জমিতে জল জমে নষ্ট হয়েছে সব্জি, কোথাও পোকার আক্রমণ। বৃষ্টি কমে রোদের দেখা মিললেও তাতেও চিন্তা বেড়েছে চাষিদের। গাজর থেকে কপি- এমনকি কলাই চাষেও আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষিরা। আশ্বিনের বৃষ্টি সব্জি চাষে অভিশাপ। শাক সব্জিতে ক্ষতি হওয়ায় চাষিদের সাথে আম জনতারও ভোগান্তি বেড়েছে। সব্জির দাম বেড়েই চলেছে। এই দুরাবস্থা কীভাবে কাটাবেন সব্জি চাষিরা? জমির অবশিষ্ট ফসল কীভাবে বাঁচাবেন? চাষিদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন ধান্যগঙ্গা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানি ডঃ সম্রাট অধিকারী।
দুর্গা পুজোর আগে বৃষ্টিপাত হলে ফসলে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আধুনিক কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ। জরুরী নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করা। অনাবৃষ্টিতে যেমন পাট পচাতে অসুবিধার মুখে পরেন পাট চাষিরা, অন্যদিকে বৃষ্টি হওয়ায় মরশুমের সব্জিতে ক্ষতি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার ক্ষেত্রে, বৃষ্টির উপর নির্ভর না করে চাষিরা বিকল্প চাষ হিসেবে ‘ মিলেট’ ও ভুট্টা চাষও করতে পারেন।
এর পাশাপাশি, জলাধারগুলিতে বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে সেই বৃষ্টির জলকে চাষের কাজে লাগানো যেতে পারে। সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ কৃষি বিজ্ঞানীর। জমির উর্বরতার ক্ষেত্রে জৈব কার্বন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জৈব সার যেমন, সর্ষের খোল, গোবর সার, কেঁচো সার, বিভিন্ন ধরনের পাতা পচা সার- এইগুলো বেশী পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। বেশী বেশী ব্যবহার করলে মাটির জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, মাটিতে উপকারি জীবাণু মিশবে, মাটির খাদ্যধারন ক্ষমতা বাড়বে। শসা, উচ্ছে, লাল কুমড়ো, এছাড়াও কলাই- চাষের পরামর্শ বিশেষজ্ঞের।