নিজস্ব সংবাদদাতা, সামসেরগঞ্জঃ ভাঙন প্রবণ এলাকা মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ব্লক। শীত হোক বা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা পাড় ভেঙে গঙ্গা কেড়ে নেয় ঘরবাড়ি সবই। বুধবার সামসেরগঞ্জ ব্লক অফিস থেকে সেই ভাঙন দুর্গতদের দেওয়া হল পাট্টা। এদিন ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি পরিবার পেল জমির পাট্টা।
গত দু’বছরের গঙ্গাভাঙনে সামশেরগঞ্জের চাচন্ড, মহেশটোলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় শতাধিক পরিবার হারিয়েছেন তাঁদের ঘরবাড়ি। কারও আশ্রয় হয়েছে স্কুল বাড়ি, কারও আবার আত্মীয়স্বজনই ভরসা আবার কেউ ঠাঁই নিয়েছেন ত্রিপলের নীচে। এদিন সামসেরগঞ্জের বোগদাদনগর অঞ্চলের ১৪ টি ও উত্তর চাচন্ড অঞ্চলের দুটি পরিবার সহ মোট ১৬টি পরিবারকে পাট্টা দেওয়া ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সামসেরগঞ্জের বিধায়ক সুজিত চন্দ্র লোধ জানান, “এর আগে সরকার থেকে ২২৭টি পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। আজ ১৬টি পরিবারের হাতে পাট্টার কাগজপত্র তুলে দেওয়া হল। পাট্টা পেয়ে তাঁরা খুশি।”
পাট্টা প্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি জানান, “রেললাইন, হাসপাতাল, ফিডার ক্যানেল সহ নানান কাজের জন্য সামসেরগঞ্জে সরকারি জমির পরিমাণ কমেছে। বিগত বছরে যাদের হাতে ব্লক প্রশাসন ছিল তাঁরা নিজেদের ক্যাডারদের দিয়ে জমি নয়ছয় করেছেন। ফলে সরকারি জমে কমেছে। তবুও আমরা চেষ্টা করে এই ১৬টি পরিবারকে জমির পাট্টা তুলে দিলাম।”
তবে পাট্টা পেয়েও প্রশ্ন তুলছেন ভাঙন দুর্গতরা। পাট্টা তো পেলেন কিন্তু সব হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় বাড়ি বানানোর খরচ পাবেন কোথা থেকে? ২০২১ সালে নদী ভাঙনে ঘর হারিয়েছিলেন উত্তর চাচন্ডের বাসিন্দা পুষ্প সরকার। হাতে পাট্টার কাগজ হাতে নিয়েই প্রশ্ন তাঁর। তিনি জানান, “ভাঙনে বাড়িঘর তো গেছেই সাথে করে টাকাপয়সা থেকে সব কাগজপত্র খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছি। এই অবস্থায় বাড়ি বানাব কী করে?”