Eid al-Adha কিছু দিন আগেই গেল খুশির ঈদ। তারপর আবার বকরি ঈদ। পিঠে পিঠি এই দুই উৎসবের ব্যবধান প্রায় বেশ কিছু মাসের। এই বকরি ঈদকে সামনে রেখে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সোমবার রাত পোহালেই বকরি ঈদ। তার আগে সপ্তাহান্তে ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরছেন তারা। সঙ্গে মনে একরাশ খুশি। কেউ দু’মাস, কেউ আবার ছয় মাস, কেউ কেউ আবার তারও আগে পারি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। দেশ, বিদেশ সবত্র ছড়িয়ে রয়েছেন এনারা। শেষমেশ সব কাজ সেরে। কেউ কেউ দিন পনেরো আবার কেউ কেউ মাস খানেকের ছুটি নিয়ে ঈদের আগে নিজের জেলায় ফিরে এসেছেন। নিজের জেলায় ফিরে কী বলছেন তারা ?
আরিফ সেখ দিল্লিতে কাজ করেন। ৬ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন। আবার এই। খুশির ঈদে আসতে পারেননি। কিন্তু মনে কষ্ট নেই তার। তিনি এদিন বহরমপুর স্টেশনে নেমে বলেন, ‘আমি আজ ৬ মাস পর বাড়ি ফিরছি। আগের ঈদে আসতে পারিনি। কী করব সংসার চালাতে হবে। কিন্তু এবার ছুটি নিয়ে এলাম। পরিবারের সঙ্গে এখন অনেক কদিন কাটাব’।
কেউ সৌদি আরব, কেরালা, ওড়িশা, দিল্লি, বোম্বাই এক কথায় ভারতের বিভিন্ন কোনে কোনে তো বটেই পাশপাশি দেশের বাইরেও এনারা কাজ করতে যান। কেউ রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন, কেউ আবার ফেরি করে বিক্রি করেন জামাকাপড়। ৭০০-৮০০ টাকা দিন মজুরিতে কাজ করেন ভিনরাজ্যে। কারণ সংসার চালাতে হবে। আর সেই সংসার কে ছেড়েই থাকতে হয় বহুদূরে। মনে পরলেও আসা সম্ভব হয় না।
উৎসবের আগে বাড়ি ফেরার আনন্দে এত দূর থেকে যাত্রা করে এসেছেন তাও কোন ক্লান্তি নেই। বাড়ির জন্য নিয়ে এসেছেন অনেক কিছু। কিছু দিনের শান্তি তারপর আবারও ঘর ছেড়ে ফিরতে হবে কাজের জায়গায়। পরিবারের সাথে দেখা হবে আবার বহু মাস বাদে। তবে এখন উৎসবের আগে ঘরে ফিরতে পাড়ায় খুশি সকলেই।