Egg prices are rising পুষ্টিগুনে ভরা ডিম অত্যন্ত প্রিয় অনেকের। কিন্তু রবিবার হোক বা সোমবার- রোজ রোজ ডিম খাওয়া এখন যেন বিলাসিতা! শীতের শুরুতেও মূল্যবৃদ্ধি ডিমের। আগে এক পিস ডিমের দাম ছিল ৪ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বাড়তে বাড়তে এখন পাইকারি দর- ৬ টাকা ৭০ পয়সা, খুচরো বাজারে দর- ৭ টাকা। এক পেটি বিকোচ্ছে- ২১০ টাকায়। বহরমপুরের বাজারে চড়চড় করে বেড়েছে ডিমের দাম। পেটি পেটি ডিম আছে দোকানে। কিন্তু বিক্রি কমেছে। লাভের বদলে আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা।
Egg prices are rising কেন ডিমের দাম এত বাড়ছে? কী কারণ? বিক্রেতারা বলছেন, চলছে ডিসেম্বর মাস, পিক সিজন কেকের। কেক তৈরির উপকরণে বিপুল পরিমাণ ডিমের চাহিদা থাকে। সেই তুলনায় যোগান কম! এছাড়াও, পরিহণের খরচ বেড়ে যাওয়াও ডিমের দাম বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ । ডিম ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এই সময়ে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারেও বেশী থাকে ডিমের চাহিদা। ফলে অন্ধ্রের ডিমের বেশিরভাগ চলে যাচ্ছে বিহার নয়তো আসামে। প্রভাব পড়েছে বাংলায়। বহরমপুরের এক পাইকারি ডিম বিক্রেতা ওবাইদুর রহমান বলেন, ” লাভ নেই একেবারেই। মহাজনদেরও নেই, ক্রেতাদেরও নেই। কস্টিং খরচ অত্যন্ত বেশী “। আরেক ডিম ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, “স্থানীয় ডিমের আমদানি প্রচুর। কিন্তু অন্দ্রপ্রদেশ থেকে ডিম এনে খুব একটা লাভ নেই। ব্যবসায় হচ্ছে ক্ষতি। কলকাতার দামেই বিক্রি হচ্ছে মফস্বলেও। বিক্রিও কমেছে।” ক্রেতারা ডিমের এই বর্ধিত দামের চাপে বেশ অসন্তুষ্ট। ভরা শীতের মরশুমে ডিমের দাম কমার সম্ভাবনা কি আছে? ব্যবসায়ীদের অনুমান, শীতের মরশুমে কোন সম্ভাবনাই নেই। মার্চ মাসের শেষের দিকে হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে! তাতেও রয়েছে সংশয়।