নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ মঙ্গলবার সকালের আলো ফোটার আগেই বহরমপুরের বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্র কুমার দে’র বাড়িতে এসে পোঁছাল ইডি। MGNREGA-ঘিরে দুর্নীতি, ভুঁয়ো জব কার্ড এছাড়াও কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ঘিরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে আসেন ইডি আধিকারিকের একটি দল। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চয়ন পানের বহরমপুরের ভাড়া বাড়িতেও পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। মাত্র ২০০ মিটারের দূরত্বে দুজনের বাড়ির।
উলেখ্য ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা-১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করেন লিখিত অভিযোগ। MGNREGA প্রকল্পে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে বেলডাঙা-১-এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসটেন্ট রথীন্দ্র কুমার দে’র বিরুদ্ধে ।
MGNREGA প্রকল্পে বিপুল টাকা অন্য একাউন্টে পাঠানো হয়। যদিও উন্নয়নের কাজে খরচ হয় নি ওই টাকা। জানা গিয়েছে ১৭,০৭৪৫০/- টাকা ইতি চ্যাটার্জির অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। ইতি চ্যাটার্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিসটেন্ট রথীন্দ্র কুমার দে’র নিকট আত্মীয় বলেই জানা গিয়েছে। ২০২০ সালে এই তদন্তের ধামাচাপা পরে যায় বলে সূত্রের দাবি।
বেলডাঙা থানায় আইপিসি’র (৪২০/৪০৬/৪০৯/৩৪) বিভিন্ন ধারায় এফআইআরও রুজু হয়। সেই মামলার জেরে চাকরিও হারান রথীন্দ্র কুমার দে। এবার তারই বাড়িতে চলছে ইডির হানা।
পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়িতেও চলছে ইডি হানা। বহরমপুরের বিষ্টুপুর কালিবাড়ি এলাকায় বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্র কুমার দে’র বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চয়ন পান। এদিন সকালে প্রথমে রথীন্দ্র কুমার দের বাড়িতে পৌঁছান ইডি আধিকারিকেরা, এরপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকেরা।
সঞ্চয়ন পান ধনেখালির প্রাক্তন বিডিও। এদিন বহরমপুরের ভাড়া বাড়ি ছাড়াও সঞ্চয়ন পানের সল্টলেকের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে সঞ্চয়ন পানের বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সঞ্চয়ন পানকে তাঁর নিজের ভাড়া বাড়িতে পাওয়া যায় নি বলে দাবি ইডি সূত্রের। পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, ফোন করে জানার চেষ্টা চলছে কোথায় রয়েছেন উনি। কিন্তু কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায় নি। এই প্রথম ১০০ দিনের কাজের টাকার দুর্নীতি ঘিরে মাঠে নামল ইডি। হানা চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। মুর্শিদাবাদ, কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে মোট চারটি জেলার ছয় জায়গায় চলছে ইডির হানা।