E Paddy মুর্শিদাবাদজুড়ে কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনা চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় নভেম্বর মাসেই ৫ হাজার ২৭৪ মেট্রিক টন ধান কিনেছে সরকার। প্রায় ৫ লক্ষ ২ হাজার ৭৪৯ কুইন্টাল ধান কিনেছে সরকার। এখনও অবধি ৩২ হাজার ৪৮৭ জন কৃষক ধান বিক্রি করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার ২৫২ টি ধান ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারছেন। এর মধ্যে কিষাণ মান্ডি ছাড়াও রয়েছে সমবায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর ধান কেনার দায়িত্বে । শনিবার ডোমকলে কিষাণমান্ডি পরিদর্শন করেন জেলা শাসক নিতীন সিংহানিয়া ( Shri Nitin Singhania, IAS) ।
E Paddy মুর্শিদাবাদে ধান কেনার টার্গেট কতো ?
নভেম্বর মাসেই ৭ হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন ধান কেনার টার্গেট ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার। তার মধ্যে ৫ হাজার ২৭৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। যদিও ডিসেম্বরে ধান কেনা অনেকটাই বাড়বে। ডিসেম্বরে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে । শনিবার ডোমকলে কিষাণমান্ডি পরিদর্শন করেন জেলা শাসক নিতীন সিংহানিয়া।
আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল ২০০০ টাকা? না এলে কী করবেন?

E Paddy কিষাণ মান্ডি সূত্রে জানানো হয়েছে, খারিফ মরশুমে ( Kharif Marketing Season KMS 2025-26) ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ২,৩৬৯ টাকা। রাজ্য সরকারের ধান ক্রয় কেন্দ্রে বা মোবাইল ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করা কৃষকদের প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০ টাকার উৎসাহ ভাতা দেবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছেন প্রায় সমস্ত ব্লকের কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে। এই ধান্য ক্রয় কেন্দ্রগুলি সাধারণত ব্লকের কৃষক বাজারগুলোতে এবং অন্যান্য কিছু জায়গাতে খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে ছুটির দিন বাদে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত প্রত্যেকদিন ধান কেনা চলছে সারা বছর ধরেই।
E Paddy তবে অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করা যাবে। ধান বিক্রি করার জন্য কৃষককে প্রথমে epaddy.wb.gov.in ওয়েবসাইটে “Farmer Self- Scheduling” মেনু থেকে তাঁর জেলার মধ্যে একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র বেছে নিতা হবে ও ধান বিক্রির জন্য একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র বেছে নিতে হবে ও ধান বিক্রির জন্যে একটি দিন ও স্লট স্থির করতে হবে। সাধারণত একটি ধান ক্রয় কেন্দ্রে একদিনে ৬০ জন কৃষকের ধান ক্রয় করা হয়। কৃষক কেন্দ্র ও দিন স্থির করে নিলে তাঁকে ওয়েবসাইট থেকে একটি রসিদ দেওয়া হয়। ধান বিক্রির জন্যে নির্দিষ্ট দিনে ওই রসিদ এবং আধার-সংযুক্ত মোবাইল নিয়ে কৃষককে ধানসহ ক্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।
E Paddy তবে এইদিন জমা দেওয়া -১. ফার্মার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (এফআরসি ), ২. ভোটার কার্ড, ৩. আধার কার্ড, ৪. জমির কাগজ (অনথিভুক্ত বর্গাদারের জন্য নয়), ৫. ব্যাঙ্ক-এর পাসবই – এই গুলির আসল সঙ্গে রাখা ভালো।
E Paddy ধানের দাম কতো ?
এ বছর ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২,৩৬৯/- টাকা । স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলি বা মোবাইল ক্রয় কেন্দ্র গুলিতে ধান বিক্রি করলে, কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ /- টাকা উৎসাহ মূল্য পাওয়া যাবে । অর্থাৎ, কুইন্টাল প্রতি ধানের মূল্য বাবদ কৃষক ২,৩৮৯/- টাকা পাবেন। এই টাকা কৃষকের ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্টে, ধান বিক্রির পর তিনটি কাজের দিনের মধ্যে, সরাসরি জমা হবে ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর জানিয়েছে, একজন চাষী গোটা বছরে সর্বাধিক ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রয় করতে পারবেন। অবশ্য সর্বাধিক বিক্রয়যোগ্য ধানের পরিমাণ, কৃষকবষন্ধু পোর্টালে দেওয়া জমির পরিমান অথবা ৮0০ অনুমোদিত চাষযোগ্য জমির পরিমাণের( কৃষক বন্ধু নেই এমন কৃষকদের জন্য) উপর নির্ভর করবে।













