পবিত্র ত্রিবেদীঃ মধ্যবঙ্গ নিউজঃ কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে কিছুটা খুশি দেখা গিয়েছে চাষিদের মধ্যে। কার্যত অনাবৃষ্টির এই বছরে গত দুই দিনে বর্ষার বৃষ্টি হওয়ায় ধান চাষে উপকার হবে বলে তাঁরা মনে করছেন । কিন্তু, এই বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। দুর্গাপুজোর দিন এগিয়ে আসছে। মাথার উপরে বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিমা তৈরি করার জন্য এখন চরম ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের । বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমার মতো বড় ঠাকুর মৃৎশিল্পীরা ঘরের বাইরে করেন। ফলে বৃষ্টি এলে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিতে হচ্ছে। কাজ কামাই করে বসে থাকতে হচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
বহরমপুরে গান্ধী কলোনির মৃৎশিল্পী দেবজিৎ দাস শুক্রবার বলেন, ঠাকুর শুকোচ্ছে না। এমনিতে কেরোসিনের দাম বেড়েছে। আমাদের চিন্তা হচ্ছে, না শুকালে কি হবে ? এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এমনিতে ঠাকুর থেকে লাভ কমে গিয়েছে। আগে যেখানে 250 টাকার ঠাকুর করে 125 টাকা লাভ করেছি । এখন সেখানে 1 লাখ টাকা ঠাকুর করে 20 হাজার টাকা লাভ থাকে না । গতবছর মাটি কিনেছি 1800 টাকায়। এবছর বেড়ে তা হয়েছে 3600 টাকা। আগের বছর বাঁশ কিনেছি 70 টাকায় । এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 150 টাকা। মজুরি বেড়েছে।
মৃৎশিল্পী সুভাষ দাসের কাছে কারিগর টুবাই মন্ডল বলেন, এবার আস্তে আস্তে ডেলিভারির চাপ বাড়ছে । বৃষ্টি হওয়াই চিন্তা বেড়েছে। কাজ হচ্ছে না । বেশিরভাগ প্রতিমা মন্দিরে চলে গেছে। সেখানে বাকি কাজ করা হচ্ছে। এখনো আমাদের এখানে পাঁচটা দুর্গাপ্রতিমা রয়েছে। সেগুলো শেষ করা নিয়ে বেশি চিন্তা।