মধ্যবঙ্গ ডেস্কঃ নামেই লাইব্রেরি। আসলে জমির উপর দুটো ঘর। দরজা বন্ধ ঘরের বাইরে কেউ পাটকাঠি শুকোতে দেন, তো কেউ গরু চরান । লাইব্রেরির স্বপ্ন থমকে গিয়েছে রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের রায়পুর গ্রামের মানুষের।
গ্রামের দুই বাসিন্দা এক কাঠা করে দুই কাঠা জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধ পড়ে আছে লাইব্রেরি। আশা ছিল লাইব্রেরি চালু হবে গ্রামে। পড়াশোনা করবে গ্রামের ছেলেমেয়েরা। স্বপ্ন দেখছিলেন নিজেদের মেয়েদের কর্মসংস্থানেরও । হয়নি স্বপ্নপুরণ কিন্তু এখন শুধুই চোখে জল। পরিবারের সদস্যদের দাবি,জমি নেওয়ার সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লাইব্রেরি চালু হলে কাজ দেওয়া হবে। কিন্তু এখন শুনশান পড়ে আছে প্রায় কুড়ি বছর আগে তৈরি হওয়া ভবন।
প্রায় বছর কুড়ি আগেই রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত চালু হয়েছিল কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরী। দরকার ছিল জমির। এলাকার দুই বাসিন্দা শশাঙ্খ কুমার মন্ডল এবং মৃগাংক কুমার মন্ডল এই কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরীর জন্য জমিও দান করেন। সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয় ভবন । এই কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরীর উদ্ধোধন করেন সেই সময়ের ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক, প্রয়াত মন্ত্রী ছায়া ঘোষ। ঘরে বেশ কিছু আলমারি ও বহু বই রাখা হয়। উদ্ধোধনের পর বেশ কিছু দিন চলার পরেই হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় তৈরি হওয়া কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরী।
প্রায় দুই দশক পেড়োতে চললেও লাইব্রেরি এখনও তালাবন্ধ। বই পড়তে এখন আর কেউ আসে না। তবে জমিদাতা থেকে স্থানীয় মানুষজন সকলেই চাইছেন ফের চালু হোক কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরি। জমিদাতা শশাঙ্খ কুমার মন্ডল ও তার পরিবারের দাবি সেই সময় তাদের জমিদানের পর কর্ম সংস্থানের আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু সে সব অতীত।
কেন সকলের নজরের আড়ালেই থাকল এই লাইব্রেরী? যা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের মনে। বেহাল অবস্থায় পরে থাকা লাইব্রেরী নিয়ে রাজনতিক তরজাও তুঙ্গে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতার দাবি দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে লাইব্রেরী চালু হোক। দাবি জানানো হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূলের।
পাড়া গায়ের ভেতর লাইব্রেরীর এখন করুন দশা। লাইব্রেরীর মাঠে রোদে শুকোচ্ছে পাট। এই করুন দশা কাটিয়ে সংস্কার হবে কি এই কমিউনিটি হল কাম লাইব্রেরী ?