Domkal Panchayet Samiti ২৮ শে মার্চ, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ নিয়ে বৈঠক ছিল মুর্শিদাবাদের ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতিতে। কিন্তু অধিকাংশ সদস্যই অনুপস্থিত থাকায় হল না বৈঠক, হল না বাজেট পেশ। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েত সমিতির অচলাবস্থা স্রেফ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই। গোটা ঘটনায় সরগরম ডোমকল।
Domkal Panchayet Samiti পদাধিকার বলে- সাংসদ, বিধায়ক, প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৭ জন। যার মধ্যে ২৩ জন তৃণমূলের। ৪ জন বিরোধী দলের সদস্য। বাজেটে অনুপস্থিত ছিলেন মোট ২২ জন পদস্থ। কিন্তু কেন? বিরোধী দলের এক সদস্য সুমিত্রা হালদার জানান, তৃণমূলের দলেরই বেশীরভাগ সদস্য অনুপস্থিত। বৈঠকে বিরোধীদের কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়না বলেই তাঁরা বৈঠক বয়কট করেছেন।
Domkal Panchayet Samiti ডেডলাইন ছিল ৩১ শে মার্চ। বাজেট পেশ হওয়ার দিন ছিল ২৮ শে মার্চ। বাজেট নিয়ে জটিলতায় কার্যত অস্বস্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও। প্রশ্ন উঠেছে, মার্চের মধ্যে বাজেট শেষের টার্গেট। ২৯ শে মার্চ শনিবার, তারপর রবিবার, ঈদের ছুটি কাটিয়ে অফিস খুলবে আগামী ২ রা এপ্রিল। কীভাবে কাটবে অচলাবস্তা? বাজেটের ভবিষ্যৎ কী? কোনপথে উন্নয়ন? ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহানা বিশ্বাস অবশ্য গোষ্ঠী কোন্দল এড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, আর্থিক বছর শেষে পঞ্চায়েতে ব্যস্ত অধিকাংশ প্রধান। একই সাথে ঈদ যেহেতু দোরগোড়ায় অনেক সদস্যই ব্যস্ত বাজারহাট নিয়ে। তিনি আরও জানান, কোরাম quorum ২০ জন মতো হয়েই গিয়েছিল। শুধু ১ জনের জন্য সেটাকে বাতিল করেই রাখা হল। কারণ , ১ জন মেম্বারের বাজেট অধিবেশনে গুরুত্ব আছে। ২ রা এপ্রিল পর্যন্ত অফিস বন্ধ। তারপর আবার মিটিং হবে।
Domkal Panchayet Samiti থমকে যাবে উন্নয়ন? মার্চের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির বাজেট পেশ না হওয়ায় ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির আগামী অর্থবর্ষের উন্নয়ন কোন পথে? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ডোমকল ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তহিদুল ইসলাম জানান, “উন্নয়ন কীভাবে হবে? সরকারের যে সিস্টেম আগামী এক বছরে কী কাজ হবে সেই কাজ ৩১ শে মার্চের আগে বাজেটের মাধ্যমে গ্রহন করা হয়, পাশ করা হয়। সেই বাজেট পাশ না হলে এলাকার উন্নয়ন কীভাবে হবে? এলাকার উন্নয়নের জন্যে এরা আসে নি। লুটেপুটে খাওয়ার জন্য এসেছে।”
Domkal Panchayet Samiti যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “বিরোধীরা কোথায় আছে জানিনা। এ সংক্রান্ত কোন খবর আমার কাছে নেই। খবর নেব, নিশ্চয়ই জানাব সত্যি টা কী।”