Domkal News বিষ্ণুপুর থেকে ডোমকল, একের পর এক হাসপাতালে চুরি কাণ্ডের পর্দাফাঁস

Published By: Imagine Desk | Published On:

Domkal News টেকনিশিয়ান পরিচয় দিয়ে একের পর এক সরকারি হাসপাতাল থেকে দামী দামী যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ। চুরির তালিকায় একের পর এক সরকারি হাসপাতাল। সম্প্রতি ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও ঘটে চুরির ঘটনা। যদিও হল না শেষ রক্ষা।  সোনারপুর থেকে গ্রেফতার দুস্কৃতি। একাধিক হাসপাতালে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঐ ব্যক্তিকে। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির যন্ত্রপাতি, নানান সরঞ্জাম। উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চুরির ঘটনা সামনে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে অভিযোগ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম চুরির। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম

 

Domkal News  এরপরেই সামনে আসে আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা।  জানা যায়, ঠিক একই কায়দায় ১লা এপ্রিল বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালেও চুরির ঘটনা ঘটে। যোগসূত্র মেলাতে শুরু হয় তদন্ত। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে অবশেষে বুধবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ উত্তর ২৪ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সমীর মণ্ডলকে।

Domkal News   বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান। তিনি জানান, ১ লা এপ্রিল বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে চুরি হয়। একজন ব্যক্তি নিজেকে টেকনিশিয়ান পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে। একাধিক সরঞ্জাম চুরি করে চম্পট দেয়। তখনই অভিযোগ পেয়ে মামলা হয়। শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায় তাঁর নাম সমীর মণ্ডল, সোনারপুরের বাসিন্দা। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধরা হয়েছে সমীর মণ্ডলকে। আরও অনেক চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে ঝাড়গ্রাম থেকে ডোমকল, কালনা থেকে  কান্দিতে চুরির ঘটনার কথা। ধৃতকে বৃহস্পতিবার সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে কোর্টে তোলা হয় বৃহস্পতিবার। আগে কোন কোম্পানিতে টেকনিশিয়ানের কাজ করত এই ব্যক্তি। চুরি করা সরঞ্জাম বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে।