Domkal Arrest ডোমকলের “আসামী ছিনতাই” ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ফের পুলিশের জালে সেই সোহেল রাণা ওরফে রাণা সেখ। ১৫ জানুয়ারি রাতে একটি চুরির মামলায় অভিযুক্ত রাণা সেখকে নিয়ে আলিনগর গ্রামে অভিযান চালাচ্ছিল ডোমকল থানার Domkal Police Station পুলিশ। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, রাণা সেখকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পালিয়ে যান রাণা সেখ। ১৯ তারিখ রাতে সেই রাণা সেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Domkal Arrest কী হয়েছিল ডোমকলে ?
১৫ তারিখে রাত প্রায় ৯:৪৫ নাগাদ ডোমকল থানার মামলা নম্বর ৩৭/২৫ তে , ভারতীয় ন্যায় সংহিতার THE BHARATIYA NYAYA SANHITA ৩০৫(ক) ধারায় অভিযুক্ত রাণা সেখকে নিয়ে চুরির জিনিস উদ্ধারের জন্য -ডোমকল থানার এসআই রণপ্রতাপ সেনগুপ্ত এবং ছয়জন পুলিশ কর্মী আলিনগর গ্রামে অভিযান চালান। অভিযানের সময়, অভিযুক্ত সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ, পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।
অভিযানের মাঝেই অভিযুক্তের আত্মীয়রা ধারালো অস্ত্র, যেমন হাঁসুয়া ও লোহার রড নিয়ে আচমকা পুলিশের উপর হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওপর শারীরিক আক্রমণ করে এবং জোরপূর্বক অভিযুক্তকে হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই হামলায় এসআই রণপ্রতাপ সেনগুপ্ত রক্তাক্ত জখম হন এবং ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন।
Domkal Arrest ঘটনার পর এসআই রণপ্রতাপ সেনগুপ্তের স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে ডোমকল থানায় ১ ১৬ জানুয়ারি ধারা ২২১/২৬২/২৬৩/১২১(২)/১৩২/১০৯(১)/৩(৫) বিএনএস -এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়। তদন্ত চলাকালীন এফআইআরে নাম উল্লেখিত পাঁচজন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীকেও। ওই পঞ্চায়েত সদস্য আবার তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানও। এই ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক তরজাও।
আরও পড়ুনঃ ডোমকলে আসামী ছিনতাইয়ে চাপ বাড়ল তৃণমূলের
Domkal Arrest তবে এবার সেই রাণা সেখকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে, ডোমকল থানা ও সাগরপাড়া থানার একটি বিশেষ টিম যৌথ অভিযানে সাগরপাড়া থানা এলাকায থেকে পলাতক অভিযুক্ত সোহেল রানা ওরফে রানা শেখকে গ্রেফতার করে। সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে এবং ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে।