নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন ? সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য এর আগে কী কী কাজ করা হয়েছে ? সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি অ্যাফেয়ার্স কমিশনের তরফ থেকে আয়োজন করা হয় একটি আলোচনা সভার।
মাইনরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান জানান, “মুর্শিদাবাদ ধীরেধীরে উন্নতি করছে। মুর্শিদাবাদ একটি সম্প্রীতির জেলা। তাই আমি চাইব এই জেলার সংখ্যালঘু মানুষদের আরও কীভাবে হোক সেই বিষয়ে আলোচনা করা।” মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লকই প্রায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সেই মানুষদের উন্নতির লক্ষ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই সভার। মোট ১৯টি উন্নয়নমূলক দিক নিয়ে হয় আলোচনা হয় এদিন।সংখ্যালঘু দপ্তরের জেলা আধিকারিক রেনুকা খাতুন জানান, “এই আলোচনা সভার মূল লক্ষ্য প্রশাসনের সর্ব স্তরের সঙ্গে একটি জনসংযোগ তৈরি করার। আজ কীকী সরকারি কাজ এতদিন হয়েছে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা হল। এবং পাশপাশি সামনের দিনগুলিতে কীভাবে এগোনো যায় সেই নিয়ে কথা বলা।” পাশাপাশি এই দিন মাইনরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান থেকে সচিব এবং পুলিশ, প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মানুষের উন্নতি করণের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনাও করেন তাঁরা।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাইনরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদে পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সংখ্যালঘু দপ্তরের মুর্শিদাবাদ জেলার আধিকারিক। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্যরাও।