বাপ্পা দাস, সুতিঃ ক্লাসরুমের ভেতরে ব্ল্যাকবোর্ড, চক, ডাস্টার সরিয়ে পড়ুয়াদের মন বসাতে বসানো হল ডিজিটাল বোর্ড, সঙ্গে অডিও ভিস্যুয়াল পাঠদানের অভিনব ব্যবস্থা। শ্রেণিকক্ষের চারিদিকে বিভিন্ন কার্টুন থেকে শুরু করে হাতি, সিংহ সহ নানান ধরনের পশু-পাখির চিত্র। সঙ্গে একটি অত্যাধুনিক গ্রন্থাগারও। স্মার্ট ক্লাসের অনন্য নিদর্শন তৈরি করল সুতি ১ ব্লকের বংশবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতে আলুয়ানী ২০ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ফিতে কেটে এই স্মার্ট ক্লাসের উদ্বোধন করেন সুতি এলাকার অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক অরিন্দম দত্ত। সুতি বংশবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা অজ পাড়া গাঁয়ের প্রাথমিক স্কুলের ক্লাসরুমে চলছে ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাস কীরকম? এলইডি স্ক্রিনে ফুটে উঠছে কৌতূহলী পড়ুয়াদের জানার বিষয়গুলি।
থ্রিডি বাঘের ছবি আর তার সঙ্গে বাঘের ডাক। পাখির কিচির মিচির। মানব দেহের অভ্যন্তরীণ নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নানা বিষয় ডিজিটাল মাধ্যমে ফুটে উঠছে পড়ুয়াদের চোখের সামনে রঙিন স্ক্রিনে। এই স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট পড়ুয়া ৯৯ জন। শিক্ষক তিনজন ও শিক্ষিকা একজন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অতিস কুমার মন্ডল বলেন, ‘আমি বরাবরই ডিজিটাল মাধ্যমে খেলাপড়ার বিষয়ে আগ্রহী। পড়ুয়াদের মধ্যে খুবই উৎসাহ,আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।’
সুতি এলাকার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরিন্দম দত্ত বলছেন, “এই এলাকায় ৭৩টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলকেই এই ভাবে পাঠদান চালু করতে উৎসাহ দেওয়া হবে।” এতে পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়বে, বাড়বে উপস্থিতিও। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলগুলোয় এখন ডিজিটাল ক্লাসরুম করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি আরও উৎসাহ দেওয়ার জন্যে। বহু স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে। সেখানে এমন একটি প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুল শিক্ষকরা উদ্যোগী হয়ে তৈরি করেছেন এই ডিজিটাল ক্লাসরুম । বংশবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত সরকার বলেন, অ-আ-ক-খ থেকে এ-বি-সি-ডি। কচি গলায় রপ্ত হচ্ছে বর্ণমালা। এই ছবি মন ভাল করে দেয় প্রত্যন্ত গ্রামে। পুজোর আগে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে বলছেন আলুয়ানী গ্রামের বাসিন্দারা।