Digha Jagannath Temple দিঘায় ‘জগন্নাথ মন্দির’ ভোটের রাজনীতি! দাবি বিজেপির, পাল্টা তোপ কংগ্রেসের

Published By: Imagine Desk | Published On:

Digha Jagannath Temple  ৩০ শে এপ্রিল, বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরেই তা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সোমবারই দিঘা পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘দিঘায় সমুদ্র রয়েছে। সমুদ্রে লোকজন বেড়াতে আসেন। এখানে একটা তীর্থস্থান হলে লোকজনকে আরও আকৃষ্ট করবে। আধ্যাত্মিকতা আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন হয়ে উঠবে এই জগন্নাথধাম। দিঘার জন্য এটা ভালই হবে।’’

Digha Jagannath Temple  রাজ্য সরকারের এই মন্দির নির্মাণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক, তুঙ্গে উঠেছে তরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেখানে এই মন্দিরকে রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পর্যটন উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছে, সেখানে বিজেপি ও কংগ্রেস স্রেফ ভোটের রাজনীতি বলেই কটাক্ষ করছে।

 

Digha Jagannath Temple মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সাংগঠনিক সভায় এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সবই ভোটের রাজনীতি। ভগবান জগন্নাথ সব জানেন, কার মনে কী আছে। তাঁকে বোকা বানানো যাবে না।” জয় জগন্নাথ স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বলুক আমরাও তো চাই যে ধর্মের কথা বলুক। এত অধর্ম করছে, লুঠপাট, খুন খারাভি, দুর্নীতি করছে। এটা হচ্ছে তাই, ভগবানকে ঘুষ দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য। ভগবানের মন্দির বানিয়ে দিচ্ছে বলে সব ধুয়ে গেল! এ পাপ ধোবে না।”

Digha Jagannath Temple  বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে পাল্টা বিজেপি আর তৃণমূলের বিরোধিতায় সুর চড়ান প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রতিযোগিতা চলছে। রামনবমীর প্রতিযোগিতা চলছে বিজেপি ভার্সেস টিএমসি। হনুমানজয়ন্তীও তাই। এবার মন্দিরের প্রতিযোগিতা। ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী করেছিলেন রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা। ভোটের আগে দিদি করছেন জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা।” অধীরের কটাক্ষ, “এটা কি বাংলার রাজনীতি! প্রতিযোগিতা হোক কে কত বেশী মানুষকে চাকরি দিল, প্রতিযোগিতা হোক কে কত বেশী মানুষের জীবন দান করল। কে কত বেশী শিল্প স্থাপন করল, কে কত বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলল। তা না! কে কত বড় হিন্দু তার প্রতিযোগিতা চলছে, তু তু ম্যায় ম্যায় চলছে বাংলায়।”