Diarrhea Prevention Tips বর্ষা মানেই ডায়েরিয়ার প্রকোপ ! কীভাবে সুস্থ থাকবেন ?

Published By: Imagine Desk | Published On:

Diarrhea Prevention Tips সচারচর জুনের শেষ এবং জুলাইয়ের শুরু মানেই বর্ষার মরসুম। বর্ষার মরসুম মানেই বিশেষ কিছু অসুখের বাড়বাড়ন্ত। কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, কখনও আবার চড়া রোদ, যখন-তখন ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক বা একটু খাওয়াদাওয়ার এ দিক-ও দিক। এ সবের হাত ধরেই হানা দেয় নানা অসুখ। এদের মধ্যে অন্যতম ডায়েরিয়া (Diarrhea)। আর এক বার এই রোগের পাল্লায় পড়লে এক দিনেই শরীর দুর্বল। এমনকি, বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতাল পর্যন্ত গড়ায় অসুখ।

Diarrhea Prevention Tips ডায়েরিয়া হলে কী কী শারীরিক জটিলতা আসে ?

  1. অত্যধিক তৃষ্ণা।
  2. শুষ্ক মুখ বা ত্বক,মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া।
  3. সামান্য বা কোন প্রস্রাব না হওয়া।
  4. ক্লান্তি।
  5. দুর্বলতা,মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা।
  6. গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব।
  7. আবার শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের যে ইঙ্গিতগুলো লক্ষ্য করা যায়-
  8. তিন বা তার বেশি ঘন্টার মধ্যে একটিও ডায়াপার না ভেজা।
  9. শুকনো মুখ এবং জিহ্বা, বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট চাটা।
  10. দেহের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার উপরে ।

Diarrhea Prevention Tips জেনেনিন ডায়েরিয়ার লক্ষন

  1. পেটে খিঁচুনি বা ব্যথা অনুভূত হওয়া
  2. বমি বমি ভাব।
  3. বমি হওয়া।
  4. জ্বর হওয়া।
  5. তরল জলের মত মল।কখনো কখনো ফ্যানা সৃষ্টি হয়।
  6. মল আঁশটে দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
  7. মলে অনেকসময় রক্ত দেখা যায়।
  8. মলে শ্লেষ্মা বের হয়ে আসা।
  9. ঘন ঘন মলত্যাগ।

Diarrhea Prevention Tips এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলি নিয়ম মানতেই হবে

১) চিকিৎসকদের মতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এই অসুখ এড়ানো সম্ভব। রান্নাঘর ও খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসন মাজার জন্য পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময়ে ব্যবহার করুন পরিষ্কার ও পরিস্রুত জল।

২) সারা বছরই পরিস্রুত জল (Purified water) খেতে হবে। রাস্তাঘাটের যে কোনও জায়গা থেকে জল খাবেন না। প্রয়োজনে বোতলবন্দি বা ফোটানো জল খান। তবে জল বেশি করে খেতে হবে।

৩) খাবার বেশি ক্ষণ ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই খান। ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তবেই খান। কারণ, খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে, যা ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা ডেকে আনে।

এই সমস্ত তথ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া। যদিও এর মধ্যে কোনরকমের লক্ষণ দেখা দেই তবে সেটি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করাই ভালো।