Kandi Kalibari : কান্দী কালীবাড়িতে ভিড়, অন্নে ভোগ দেবীর

Published By: Pabitra Tribedi | Published On:

চতুর্দশী মেলায় জমজমাট কালীবাড়ি মন্দির চত্বর

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ কথিত আছে রাজা বল্লাল সেনের আমলে গড়ে উঠেছিল কান্দীর (Kandi) দোহালিয়া কালী মন্দির (Kandi Dohalia Kali Mondir)। শুধু কান্দী মহকুমা নয়। এই দক্ষিণা কালী মন্দিরের টানে অনেক দূরের মানুষ আসেন সেখানে। প্রতিদিনই দর্শক সমাবেশ হয়। ভোগ খাওয়ানো হয়। এখন সেখানে চলছে চতুর্দশী মেলা। ত্রয়োদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত এই মেলা চলে। হাজার-হাজার দর্শকের সমাগম হয়। সোমবার সেখানে কয়েক হাজার দর্শক প্রসাদ খেয়েছেন। মন্দির থেকে কালীবাড়ি মোড় যাওয়ার রাস্তায় প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত মেলা বসেছিল। মানুষের ঢল নামে। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষের সমাগম এই মেলায়। চতুর্দশীর মেলা দেখতে আসা তরুণ অনির্বাণ ঘোষ জানান, দুর্গাপুজোর পরে চতুর্দশীতে এখানে মেলা বসে। এই মেলায় প্রতিবার আমরা আসি।

Kandi Kalibari

Kandi Kalibari সেখানকার সেবায়েত গিরিশ পান্ডে এদিন বলেন, আজকে ষোড়শ উপাচারে মায়ের পুজো হয়। মা আজকে অন্ন খান। রাতে অন্ন ভোগ হয়। দিনে কোনও ভোগ হয় না। ফলাহার হয়। বাৎসরিক পুজোতে হোম, বলিদান হয়। মেলা উপলক্ষে হাজার দশেক লোকের রাতে নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাজার-হাজার বছর ধরে এখানে এই চতুর্দশী পুজোতে বিশেষ মেলা, হোম, যজ্ঞের ব্যবস্থা হয়ে আসছে। রাকেশ রায় নামে এক দর্শক জানান, এটা মায়ের সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক। প্রতিবার আসি। সুমি অধিকারী নামে এক দর্শক জানান, সঙ্কল্প করে পুজো হল। প্রতিবার আসি। বেশ ভালো লাগছে। রানা রায় নামে এক সেবায়েত বলেন, আমি প্রতিবার আসি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম যাতে আমাদের সব গ্রামবাসী ভালো থাকেন। দীর্ঘ দিন এই পুজোতে আসা যূথিকা রায় বলেন, এখন অনেক নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ভালো লাগল।

আরও পড়ুনঃ Migrant Workers বহরমপুরের ৬ শ্রমিকের ব্যাঙ্গালোরে একি পরিণতি

জ্যোতিষী ও কালীবাড়ির পান্ডা অমিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকে মায়ের আবির্ভাব তিথি। এখন জমজমাট পুজো হয়। অনেক নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা হয়। কালীবাড়ির সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকা নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিই ১৯৭৮-৭৯ সালে। সেই সময় মানুষের ব্যাপক সাড়া ছিল। মোবাইলের যুগে এখন সেরকম হচ্ছে না।

See also  ভুল সংশোধন করবঃ মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু

Kandi Kalibari এই কালীবাড়িতে পৌষ মাস জুড়ে মেলা বসে। সে সময় পিকনিক করতে অনেকেই আসেন মন্দির সংলগ্ন মাঠে। মন্দিরে পুজো দেওয়া, পরিবার, বন্ধু সবাই মিলে মজা করার জন্যে দর্শকদের সমাগম ঘটে। এছাড়া প্রতি শনি ও মঙ্গলবার প্রচুর ভিড় হয়।