Dengue fever সাধারণ জ্বর (Normal Fever) এবং ডেঙ্গির (Dengue fever) মধ্যে পার্থক্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক নির্ণয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়। জ্বর, যা মূলত শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ, অনেক কারণে হতে পারে, তবে ডেঙ্গি (Dengue) একটি বিশেষ ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ যা মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই দুই ধরনের জ্বরের মধ্যে পার্থক্য জানা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
Dengue fever সাধারণ জ্বরের লক্ষণ:
- উচ্চ তাপমাত্রা: সাধারণ জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা প্রায় ১০১-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮.৩-৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত উঠতে পারে।
- শরীরের ব্যথা: পেশী ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- শীতলতা বা ঘাম: জ্বরের সঙ্গে শীতলতা বা অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
- কাশি: সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথাও দেখা দিতে পারে।
Dengue fever ডেঙ্গির লক্ষণ:
- উচ্চ তাপমাত্রা: ডেঙ্গি জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮.৯-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত উঠতে পারে।
- পেশী ও অস্থিসন্ধির তীব্র ব্যথা: সাধারণ জ্বরের চেয়ে ডেঙ্গিতে এই ব্যথা অনেক বেশি তীব্র হতে পারে
- রক্তাল্পতা এবং রক্তপাত: মুখের মধ্যে, নাক বা মূত্রে রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- বমি বা বমির প্রবণতা: অনেক সময় রোগী বমি করতে পারেন।
- ত্বকে র্যাশ: রোগীর ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
- হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া: শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা, দ্রুত বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এই সবকিছুই হিমোগ্লোবিন কমার লক্ষণ।
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গির একটি মারাত্মক দিক হল, ‘ম্যাক্রোফেজ় অ্যাক্টিভেশন সিনড্রোম’। এতে যকৃতের উৎসেচক ক্ষরণ মারাত্মক পরিমাণে বেড়ে যায়। আবার এলডিএইচ, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রার হার বেড়ে যায়। একই ভাবে রক্তে ফেরিটিনের মাত্রা বাড়াবাড়ি রকম বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হয়। চিকিৎসক বলেন, ‘‘এমন ক্ষেত্রে রোগীকে স্টেরয়েড দিতে হয়। সামগ্রিক ভাবে এই পরিস্থিতিতে রোগীর অস্থিমজ্জায় সমস্যা দেখা দেয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকির। তাই প্লেটলেটের সংখ্যা ঠিক আছে মানেই যে ডেঙ্গির বিপদ থেকে আপনি মুক্ত, এমনটা কিন্তু নয়।’’