মুর্শিদাবাদের নগর কলেজে তীব্র বিতর্ক
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলেজে ক্লাস চলাকালীন ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ Amader Para Amader Samadhan অনুষ্ঠান। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাক, মাইকের আওয়াজে কান ঝালাপালা পড়ুয়াদের। ঘটনায় বিতর্ক তুঙ্গে। একদিকে কলেজে চলছে স্নাতকের একাধিক বিভাগের প্রথম সেমেস্টার ও পঞ্চম সেমেস্টারের ক্লাস। অন্যদিকে সেই কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে তারস্বরে বাজছে ঢাক, মাইক। হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের নগর কলেজ Nagar College। ক্যাম্পে হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত, প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে জনপ্রতিনিধিরা। পঠনপাঠন ব্যহত হওয়ায় সরব পড়ুয়াদের একাংশ।
ভুগোল বিভাগের পঞ্চম সেমেস্টারের ছাত্র আফসার আলি বলেন, আমাদের যখন ক্লাস হচ্ছিল, সেসময় বক্স, মাইক বাজছিল। তাতে আমাদের ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছিল। এই বিষয়ে বিরাধীরা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আবুল কাসেম বলেন, কলেজ বন্ধ রেখে এটা করা সমর্থন যোগ্য নয়। প্রিন্সিপালের এর প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল।
বিতর্কের মুখে এই বিষয়ে কী বললেন মন্ত্রী? জাভেদ খান বলেন, এটা জনস্বার্থে, বৃহৎ স্বার্থে। রাস্তা তো মানুষের জন্যে। আমরা তো ক্লাস রুমে প্রোগ্রাম করছি না। কিছু লোক আছেন তাঁরা কটাক্ষ করবেন। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত ব্যাখ্যা দেন, সরকারি প্রোগ্রাম সরকারি জায়গাতেই হবে। সেই মতো ক্লাস আগে করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ছেলে মেয়েরাই কলেজে পড়ছে। এটা উন্নয়ন প্রকল্প। যারা সমালোচনা করার তাঁরা করবেন। কলেজের ক্ষতি হয়নি।
এই বিষয়ে অধ্যক্ষ অনীলেশ দে ‘দার্শনিক’ সাফাই দিয়েছেন, অডিটোরিয়াম সাউন্ড প্রুফ। ওঁদের ঢোকার সময় কিছুটা শব্দ এসেছে। কিন্তু তা সাময়িক। যদি কেও পড়তে চায়, জানতে চায় তাদের পড়াশোনার বাধা কিছু হতে পারে না। তিনি আরও জানান, প্রথম সেমেস্টারের ছাত্ররা কলেজে সবে ঢুকেছে। দুয়েকটি বিভাগ ছাড়া বাকি জায়গায় আজ শিক্ষক দিবস পালন হচ্ছে। আমি ছাত্র ছাত্রীদের বলেছি তোমাদের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তোমরা নিজেরা তুলে ধরবে। আজ কোনও পরীক্ষা নেই। পরিচালন সমিতির সভাপতি আশিস মার্জিত আমাদের ক্লাস চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। তাই বলেছি ক্লাস চলুক।
ইংরেজির অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রোগ্রামও হচ্ছে। ক্লাসও চলছে। কলেজের অধ্যাপকরাও কার্যত অস্বস্তিতে। সরাসরি অভিযোগ না করলেও সমস্যা যে হয়েছে বোঝালেন ইঙ্গিতে। নগর কলেজ কর্তৃপক্ষের সাফাই- বেলা দেড়টার পর থেকে ক্লাস সাসপেনশনের নোটিশ দেওয়া হয়। সাউন্ড প্রুফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান চলে। গোটা ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তীব্র নিন্দায় সরব বিরোধীরা।