Cyber Crime Arrested HS এর প্রশ্ন নিয়ে এই অপরাধ! অভিযোগে ধৃত বেলডাঙার যুবক

Published By: Imagine Desk | Published On:

Cyber Crime Arrested রাতের অন্ধকারে সাইবার ক্রাইমের পুলিশের হানা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। ধৃতের নাম আলফাজ শেখ। যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার একাধিক সামগ্রী। উদ্ধার হয়েছে ২,৫০০র বেশি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড, ৬৫ টি কিপ্যাড মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং ৯টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হ্যান্ডসেট।

Cyber Crime Arrested অভিযোগ কী?

Cyber Crime Arrested  ভিডিও মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ । সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং সংসদ ও রাজ্য সরকারের মানহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্তে সামনে আসে বেলডাঙার আলফাজের কাণ্ড। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের শ্রীমন্ত গড়াইকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। শ্রীমন্তকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে তাঁর দোষ স্বীকার করে এবং অপরাধ সংঘটনের জন্য প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড সরবরাহকারী আলফাজ শেখের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে। তদন্ত অনুসারে পুলিশ অভিযান চালায়।

Cyber Crime Arrested  পুলিশি অভিযানের পর থেকেই বেলডাঙার ধৃত যুবক আলফাজ শেখের বাড়ি সুনসান। থমথমে এলাকাও। ধৃতের বাবা মফিজুল শেখ জানান, রাতে পুলিশ এসে বাড়ি থেকে তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ছেলে মোবাইলের কাজ করে। কেন পুলিশ গ্রেফতার করেছে সঠিক কারণ জানেন না। ধোঁয়াশা রয়েছে।

ধৃত আলফাজ সেখের বাড়ি

 

Cyber Crime Arrested তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য-

Cyber Crime Arrested পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারা গিয়েছে, শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন নয়! বিভিন্ন পরীক্ষার ভুয়ো প্রশ্নপত্র বানাত এই অভিযুক্তরা। পুলিশের অনুমান, একটি বড় চক্র রয়েছে এর পিছনে। সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Cyber Crime Arrested গত ৭ ই মার্চ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অভিযোগে বলা হয়, সোশ্যাল মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং মানহানি করার উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি ভিডিও মাধ্যমে। অনুভব মাইতি নামে এক যুবকের নামে অভিযোগ করা হয় প্রথমে। যদিও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, পদার্থবিদ্যার প্রশ্নপত্র কোনও ভাবেই ফাঁস হয়নি। বরং সমস্ত প্রশ্নপত্রের প্যাকেটগুলি অক্ষত ছিল। ৭ ই মার্চ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সেগুলি কাস্টোডিয়ানদের অফিসে নিরাপদে রাখা হয়েছিল এবং পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। এই ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়েই পুরুলিয়া এবং বেলডাঙার দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।