নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ প্রথমে কংগ্রেসকে ফোন করে কর্মসূচি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলেন। পরে সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। কিন্তু ২৪ ঘন্টাও কাটল না। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় সাংবাদিকদের ডেকে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলার ন্যয় যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিন জামির বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার মানুষের প্রতি অবিচার করছে অন্যায় করছে। সেই মানুষের জন্য ন্যায়ের দাবিতে যারা ইনসাফ যাত্রা করবে, ন্যায় যাত্রা করবে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদেরকে সংহতি জানাতে আমরা সমর্থন জানাই।” এখানেই থামেন নি জামির। এদিন বলেন, “কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা তাদের সহযোগিতা করতে চাই। তাদের পাশে থাকতে চাই।”
তবে এই ভোলবদল কী সিপিএমের কৌশল? বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুর স্টেডিয়ামে তাঁর সরকারি সভা থেকে সিপিএমকে আক্রমণ করেছেন সেদিনই সিপিএমের কংগ্রেস প্রীতি কাকতালীয় হলেও আলোচনা থামছে না রাজনীতির কৌশলীদের। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমকে কংগ্রেসের দালাল বলেছেন। দাবি করেছেন, সিপিএমের জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এদিন সিপিএমের অবস্থান বদলে সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির ঘর দুয়োরে।
রাত পোহালেই মুর্শিদাবাদে আসবেন রাহুল গান্ধী। তাঁর নয়া কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো ন্যয় যাত্রা’য় পা মেলাবেন সিপিএমের সূজন চক্রবর্তী ও মহম্মদ সেলিম। তাঁরা রঘুনাথগঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে থাকবেন। তাঁদের সঙ্গেই থাকবেন জামিররা।