এখন খবরমধ্যবঙ্গ নিউজপরিবেশবিনোদনহেলথ ওয়াচখেলাঘরে বাইরেলাইফস্টাইলঅন্যান্য

Cow Health Problem: ক্ষুরাই রোগ থেকে গরুকে বাঁচাবেন কীভাবে ?

Published on: June 14, 2024
Cow-Health-Problem-Solution

Cow Health Problem তীব্র দাবদহে কাহিল হয়ে পড়েছে জীব জন্তু থেকে পশু পাখিরাও। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা । মুর্শিদাবাদ চাষাবাদের জেলা। গ্রামীণ এলাকায় বহু মানুষের বাড়িতে গরু, মহিষ, ছাগল পালিত হয়। পশু পালন তাঁদের রোজগারেরও উপায়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মানুষের মতন নাজেহাল অবস্থা তাদেরও। ফলে চিন্তায় এই গবাদি পশু পালনকারীরাও। এই গরমে গরুর শরীরে দানা বাঁধতে পারে ভাইরাস-ঘটিত ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ’ রোগ বা চলতি ভাষায় ‘ক্ষুরাই’ রোগ। এমন একটি রোগ যার ফলে সহজেই মরে যেতে পারে আপনার বাড়ির গরু। এমনকি যদি ১-৬ মাসের বাছুর হয় তাহলে তাদের মৃত্যু দিনের দিন ঘটতে পারে।

কিন্তু কী এই রোগ এবং কীভাবেই বা বুঝবেন ?

সেই বিষয়ে বিস্তরে জানালেন পশু চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ দাস। তিনি জানান, ভাইরাস-ঘটিত এই রোগে আক্রান্ত প্রাণীর প্রথমে জ্বর হয়। পরে প্রাণীর মুখ, জিভ ও পায়ে ঘা হয়। এই অবস্থায় সে খেতে পারে না। ক্ষুরের খোল খুলে পড়ে। গর্ভবতী গাভীর গর্ভপাত হয়ে যায়। দুধ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আর বলদ অক্ষম হয়ে পড়ে।

এই ভাইরাল রোগের চিকিৎসা করলেও তেমন কোন লাভ মেলে না বলেই দাবি পশু চিকিৎসকদের। তবে এই রোগ থেকে গরুকে বাঁচাতে একমাত্র ভরসা আগে থেকেই ক্ষুরাই রোগের ভ্যাকসিন করিয়ে নিতে হবে। সরকারি ভাবে প্রতি ৬ মাস অন্তর এই রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

পশু চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ দাস জানান, “বেশ কিছুদিন ধরে বাইরে থেকে গরু আসছে। তারা একটা নতুন রোগ আমদানি করছে সেটা হচ্ছে ক্ষুরাই। এই রোগ সহজেই একটি গরু থেকে আরেকটি গরুর মধ্যে চলে যেতে পারে”। এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় কী সেই বিষয়ে জানালেন ডাঃ অমিতাভ দাস, “বাড়ির গরুদের অন্তত দিন ১৫ থাকতে দেবেন না। তারপর যদি দেখেন ওদের কোন রোগ নেই। তাহলে আপনার বাড়ির গরুর সঙ্গে রাখ শুরু করুন”।

এই রোগের লক্ষণ বেশ কয়েকটা রয়েছে। তার মধ্যে ক্ষুরাই-এর প্রথম লক্ষণ জ্বর থাকবে গরুর। তার সঙ্গে মুখের ভেতরে ঠোঁটের নিচে জিবে ছোটছোট ফোসকা নেবে। সেগুলি আসতে আসতে ঘায়ে পরিণত হবে। উন্নত জাতের গরুদের আরও বেশি তাড়াতাড়ি ক্ষতি করে। তার পরে পায়ে ক্ষুরে আক্রমণ করবে এই রোগ। ভারি গরুর পক্ষে উঠে দাঁড়ানোই সম্ভব হবে না। এবং ধীরেধীরে সেই গরু মাড়া যাবে। আর বাছুরদের বোঝা মুশকিল সকালে দুধ খাবে। বিকেল পর্যন্ত মাড়া যাবে। এদের সরাসরি হার্ট এবং পেশিতে আক্রমণ করে।

এই রোগের যেকোন লক্ষণ দেখতে পেলেই সাথে সাথে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভাইরাস  রোগ আটকাতে বেশ কিছু সচেতনতার পরামর্শ দিছেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ে মানব দেহের পাশাপাশি গবাদি পশুদেরও বিশেষ খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পশু চিকিৎসকেরা।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now