১৭ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় World COPD Day বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ দিবস।এক দিকে বায়ুদূষণ অন্য দিকে ধূমপান, এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এমনকি খুব ছোট বয়স থেকেই দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। তবে কোভিড ১৯ এর আবির্ভাব আমাদের অনেক নতুন তথ্যের সন্ধান দিয়েছে। অতিমারির আগে সিওপিডি বিষয়টা বেশির ভাগ মানুষের কাছে অচেনা ছিল।
আর তাই এ বিষয়ে সকলকে আরও বেশি সচেতন করতেই এই দিনটি পালন করা হয়। মানুষের ফুসফুসের মধ্যে বাতাস ভর্তি থলি অ্যালভিওলাই মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিওপিডিতে ।যার ফলে বুক ভরে বাতাস টেনে নিতে কষ্ট হয়, ঘন ঘন কাশি হওয়ার ফলে হাঁপানির সমস্যা দেখা যায়।
তবে এই সিওপিডির কারণ কি? কিভাবে হতে পারে এই অসুখ?
*এর অন্যতম কারণ ধূমপান ও দূষিত পরিবেশ।
*প্রথমে শ্বাসনালী, পরে ফুসফুস ক্রমশ অকেজো হতে শুরু করে দূষণের কারণে।
*আমাদের দেশে ফুসফুসের এই ক্রনিক সমস্যার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
*তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের। এমনকী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও ফুসফুসের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে।
* নিয়মিত ধূমপান করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
* শুধু তাই নয়, দূষিত বায়ু বা বিশেষ রাসায়নিকের সংস্পর্শে থাকলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভারতবর্ষে দূষণের মাত্রা যে হারে ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তাতে গবেষণা বলছে, খুব শীঘ্রই এ দেশ সিওপিডির বিশ্ব-রাজধানী হতে চলেছে। করোনাভাইরাস আমাদের জীবন আমূল বদলে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনও মানুষের মধ্যে রয়েছে সচেতনতার অভাব। ফুসফুসের সমস্যা যে কোনও ভাবেই অবহেলিত নয়। নিয়মিত ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং তা বন্ধ করতে হবে।
কোনও গ্যাস কিংবা রাসায়নিকের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে যাতে ফুসফুসের ক্ষতি না হয়। দূষণ থেকে বাঁচতে, আন্টি পলিউশন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত প্রাণায়ম শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।