নিজস্ব সংবাদদাতা, কান্দিঃ ফের রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় প্রশাসনিক বাধার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কান্দির গোকর্ণে রাস্তা আটকে বিক্ষোভও দেখালেন কংগ্রেস কর্মীরা। পাশে পেলেন সিপিআই(এম) কর্মীদেরও।
বৃহস্পতিবার সকালে ফারাক্কা হয়ে মুর্শিদাবাদে ঢোকে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা। কান্দির নবগ্রামেই ছিল রাত্রিবাসের আয়োজন। শুক্রবার সকাল ৮ টায় গোকর্ণ থেকে ফের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধে প্রশাসন। শুক্রবারই রাজ্যে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার কারণ দেখিয়েই নাকি দেওয়া হয় নি অনুমতি।
এতে বেজায় চটেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে । সকাল ৮ টা থেকে পরীক্ষার হলে চলে আসার কথা শিক্ষক, শিক্ষিকা, পরীক্ষার্থীদের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে যাওয়ার পরেই শুরু হওয়ার কথা ছিল ন্যায় যাত্রার । কিন্তু রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেওয়া হবে না ন্যায় যাত্রার অনুমতি।
কংগ্রেসের দাবি, পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে মাইক। পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে বলে বৃহস্পতিবার ভাষণও দেন নি রাহুল গান্ধী। সকালে কান্দির গোকর্ণে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে অবরোধ। কান্দি, বহরমপুর রাজ্য সড়কে অবরোধের জেরে আটকে পরে বাস, ট্রাক। অবরোধের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে কান্দির কংগ্রেস নেতা মাঞ্জারুল হক, শ্যামল ঘোষ, নাজমূল আলমকে। কংগ্রেস নেতা শ্যামল ঘোষের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।
ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলাতেও। এদিন রাজ্য প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে অধীর চৌধুরী বলেন, “ রাহুল গান্ধীকে শান্তিপূর্ণ ভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় জানানোর ব্যবস্থা করে দিন। তার বদলে আমাকে দু’চার বছর জেল খাটিয়ে নিন কোন অসুবিধা নেই”।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাহুলের কনভয় নিয়েও আপত্তি ছিল প্রশাসনের। চার পাঁচটি গাড়ি নিয়ে ন্যায় যাত্রা বেড়িয়ে যেতে বলে পুলিশ। তবে তাতে আপত্তি ছিল কংগ্রেস নেতাদের। যদিও এদিন নির্ধারত সময়ে প্রায় দুই ঘন্টা পর সাড়ে দশটা নাগাদ কান্দির নবগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা। কংগ্রেসের আশঙ্কা, দেরীর কারণে বেশ কিছু পরিবর্তন হবে এদিন রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার সূচীতে।