হরিহরপাড়ার মিনারুল ইসলামের মৃত্যু ঘিরে কংগ্রেস–তৃণমূল তরজা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা মিনারুল ইসলামের মরদেহ রেখে চম্পট দেয় দুই ব্যাক্তি। মৃতের পরিবার দাবি, খুন করা হয়েছিল মিনারুলকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিনারুল ইসলামের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে হরিহরপাড়া থানার সামনে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মিনারুলের পরিবার সহ চোঁয়া গ্রামবাসীরা। সেদিন রাতে লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করেছিল পুলিশ।

অবশেষে হরিহরপাড়া চোঁয়া এলাকা থেকেই হত্যাকান্ডে জড়িত গাফফার খান ও সরফরাজ খান নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়ি করে মৃতদেহ নামানো হয়েছিল, হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই গাড়ির ছবি। সেখান থেকেই সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। ধৃতদের শনিবার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী সাহানাজ বানু বিবি। যদিও এফআইআর-এ নাম নেই ধৃতদের।

শনিবার মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন। সেখানে গিয়ে মৃতের পরিবারের সাথে কথা বলেন। প্রশ্ন তোলেন পুলিশি সক্রিয়তা নিয়েও। সেখান থেকেই কার্যত তৃণমূলকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, তৃণমূল আর পুলিশের সাথে এখন টাকা লেনদেনের সম্পর্ক। তিনি আরও বলেন, মৃতের খুনিদের যথাযথ শাস্তি ও মৃতের নিখোঁজ ছেলেকে উদ্ধার না করা গেলে তিনি মৃতের পরিবারকে নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন।

যদিও এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস কে পাল্টা তোপ দেগেছেন শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসও। হরিহরপাড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি আহতাবউদ্দিন সেখ জানান, তিনি মৃতের পরিবারকে নিয়ে রাজনীতি করছেন। বাজার গরম করছেন। মোশারফকে নিশানায় রেখে তিনি আরও জানান, সভাধিপতি থেকে উনার শখ, আহ্লাদ মিটছিল না। উনি মন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার মুখে এসব কথা মানাই না। একটা পরিবার নিয়ে রাজনীতি করছেন, কারণ লোকসভা ভোটের আগে বাজার গরম করতে চাইছেন। মানুষ এসব নেতাকে গ্রহণ করে না।