নিজস্ব সংবাদদাতা, ভরতপুরঃ পঞ্চায়েত অফিসে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সালার থানা ও ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য। জানা গিয়েছে ভরতপুর-২ ব্লকের কাঁগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের সদস্য মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার অভিযোগ মঙ্গলবার তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যান।
বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ তিনি পঞ্চায়েত থেকে বেরনোর সময় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী আইনুদ্দিন সেখ ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুধু মারধরই নয় তার সাথে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ সাহাবুদ্দিন জানান, ‘আমরা মোট ২০ জন মেম্বার বসেছিলাম। সেই সময় প্রধান (বেলি খাতুন) এবং প্রধানের স্বামী (আইনুদ্দিন সেখ) দুজনেই আমার ওপর চরাও হয়। এবং বলে আমি কংগ্রেস করি আমার কোন রকমের অধিকার নেই এই পঞ্চায়েত অফিসে।’
এই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী আইনুদ্দিন সেখের বিরুদ্ধে বিডিও ও সালার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান। তার পাল্টা দাবি ওই পঞ্চায়েত সদস্যই লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েতে এসেছিলেন।
কাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান বেলি খাতুন এই বিষয়ে জানান, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। ওঁরা (সাহাবুদ্দিন) কাল অনেক লোক নিয়ে এসেছিলেন পঞ্চায়েত অফিসে। এসেই টাকার হিসেব চাইতে শুরু করেন তাঁরা। আমরা বললাম, ঠিকাছে একটি সাধারণ সভা করা হবে সেখানে সামনা সামনি বসে হিসেব করা যাবে।’ অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর পরিবার।