মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ এবার নতুন ব্লক সভাপতি নিয়ে বিদ্রোহ মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অপসারণ চেয়ে চিঠি মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। বড়ঞায় বিদ্রোহে অস্বস্তিতে তৃণমূল। ১৭ জানুয়ারি রাতে প্রকাশিত হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের নাম। বড়ঞা দক্ষিণ ব্লকের সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হয় সমীরণ মন্ডল। তার পরেই শুরু হয় বিদ্রোহ।
সমীরণ মণ্ডলের অপসারণ চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছেন ৬ টি পঞ্চায়েতের প্রধানরা। তৃণমূল চেয়ারপার্সন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ জন সদস্য। নেতৃত্বে রয়েছেন বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাহে আলম।
বিদ্রোহীদের অভিযোগ, দল বিরোধী কাজের সাথে যুক্ত নতুন ব্লক সভাপতি।পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি উঠে আসে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি নির্বাচন ঘিরে । বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৮ আসনের মধ্যে তৃণমূল ২১টি আসনে জয়ী হয়, কংগ্রেস ৮ টিতে জয়ী হয়। বিজেপি ৭টি আসন দখল করে, বামেরা ২ আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ট আসন থাকা সত্ত্বেও দলের ঘোষিত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিরোধীদের নিয়ে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূলের একাংশের। সভাপতি হন তৃণমূলের সুলতানা খাতুন এবং সহকারী সভাপতি হন বিজেপির সুজিত পাত্র। এরপর স্থায়ী সমিতি গঠন। স্থায়ী সমিতি গঠনের সময় তৃণমূলের প্যানেলকে হারিয়ে ৮ টি স্থায়ী সমিতি গঠন করে বিরোধীরা। এই দুই কান্ডে সমীরণ মণ্ডলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্রোহীরা।
সমীরণ মন্ডলের স্ত্রী দীপ্তি মন্ডল নিজে বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। দলের নির্দেশ না মানার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও। নতুন ব্লক সভাপতির অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের ৬ প্রধান ও ১৬ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য মাহে আলম। লোকসভা ভোটের আগে এই বিদ্রোহে কার্যত অস্বস্তিতে তৃণমূল।