মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কুলিদিয়ার গ্রাম ভাঙন প্রবণ এলাকা। সেখানে বাড়ি দীপঙ্কর মণ্ডলের। শীত পড়তেই এই এলাকায় আছড়ে পড়ে গঙ্গা ভাঙন নামের অভিশাপ। সেই অভিশাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে মঙ্গলবার সকালে নদী পাড়ে থাকা নিজের বাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যাওয়ার কাজ করছিলেন দীপঙ্কর। সেই কাজে তাঁকে সাহায্য করছিলেন স্ত্রী ও একমাত্র খুদে কন্যাসন্তান বর্ষা মণ্ডল। মাটির বাড়ির টালির ছাউনি থেকে এক এক করে সমস্ত টালি সরিয়ে ফেলতে বাবাকে সকাল থেকে সাহায্য করছিলেন বছর সাতের বর্ষা।
মঙ্গলবার অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, বেলা ১০টা নাগাদ নিজেদের বাড়ির মাটির দেওয়ালের পাশে বসে খাবার খাচ্ছিল সেই খুদে। এমন সময় ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হঠাৎই বর্ষার উপর ভেঙে পড়ে বাড়ির একটি দেওয়াল। সেই দেখে তড়িঘড়ি দেওয়াল সরানোর কাজে হাত দেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কার নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিদিয়ার গ্রামে। ওই গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল বর্ষা মণ্ডল। একমাত্র মেয়ের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে দীপঙ্কর মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীর জীবনে। বুধবার জঙ্গিপুর সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়।